অনলাইন ডেস্ক :
লকডাউনের মধ্যেও লন্ডনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ নেই। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ভীড়। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উপচে পড়ছে করোনা রোগী।
সে দেশের হাসপাতালগুলোতে কোথাও ১৬ জনের শয্যায় রাখা হয়েছে ৩০ জনকে। আকার কোথাও শয্যার অভাবে রোগী ফেরাতে বাধ্য হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মৃত্যুর মিছিল তো রয়েছেই।
ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ এবং মারা গেছে এক লাখ তিন হাজার একশ ২৬ জন।
নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের জেরে দেশটি নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনার বৈজ্ঞানিক নাম ভিওসি ২০২০১২/০১।
ব্রিটেন চিহ্নিত হওয়া ধরন বলেই লোকে একে বেশি চেনে। মাসখানেক আগে ব্রিটেনে প্রথম চিহ্নিত হয়েছে করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন। অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিশ্বের ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সপ্তাহে আরও ১০টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। ভয়ের বিষয় একটাই, উহানে চিহ্নিত হওয়া পুরনো করোনা ধরনটির থেকে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। বহু ক্ষেত্রে তা দ্বিতীয় সংক্রমণের কারণ হিসেবেও ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকায় চিহ্নিত করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে অন্তত ৩১টি দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিও কম সংক্রামক নয়।
সূত্র: এনডিটিভি