কুমারখালিতে আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষা পল্লী পার্ক দৃষ্টি কাড়ছে পর্যটকদের

কুমারখালি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

সংস্কৃতির নাগর নামে পরিচিত কুষ্টিয়া। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কুঠিবাড়ি, মরমী দার্শনিক ফকির লালন শাহ মাজার, বাংলার অন্যতম সাহিত্যিক মীর মোশারফ হোসেনের বাস্তবতা, ব্রিটিশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা বাঘাযতীনের স্মৃতি, কাজী মিয়াজান সহ অসংখ্য গুণীজনের বসবাস থাকাই বিখ্যাত হয়ে আছে এই কুষ্টিয়া।
জরিপ বলছে, আর তাই কুষ্টিয়ায় প্রতিবছরই কয়েক লক্ষ পর্যটক আসে এ সকল স্থান দেখতে।

এরই মধ্যে হঠাৎ দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর অবস্থিত আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষা পল্লী পার্ক।দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর থেকে শিলাইদাহ কুঠিবাড়ি রাস্তা যেতেই চোখে পড়বে।মূলত আলাউদ্দিন আহমেদের বাড়ির উত্তর পাশে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৫ সালে কুমারখালীর কৃতি সন্তান, হেলথকেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান, আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, শিক্ষানুরাগী ও দানবীর ড• আলহাজ্ব আলাউদ্দিন আহমেদ এই পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু করে।

২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে, নির্মাণ কাজের আংশিক কাজ সম্পন্ন হলেও ইতিমধ্যে পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।পার্কটি খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই প্রতিদিনই পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবসহ ঘুরতে আসছে শত শত দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের জন্য পার্কটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া ও কুষ্টিয়ার বাইরে থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাড়ি, ফকির লালন শাহের মাজারে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা এখানেও ভিড় জমাচ্ছে।

ভালো মানের গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা থাকায় দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের বাড়তি বেগ পেতে হচ্ছে না।
পার্কটি ঢুকতেই চোখে পড়বে জাতীয় মানের একটি সৌন্দর্যপূর্ণ গেট।সেইসাথে ভেতরে ঢুকলেই বাউন্ডারি ঘেরা বিশাল বড় এরিয়া জুড়ে চোখে পড়বে, বাম্পার ক্যার, টুইস্ট রাইটার, সুইম চেয়ার রাইটার, পাইরেট শিপ, বুলেট ট্রেন, দৃষ্টিনন্দন পুকুরের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রঙের মাছ, নৌকা, স্প্রীট বোর্ড, বাঘ, হরিণ, সাবলীল পরিবেশে পিকনিক স্পট সহ বিভিন্ন রকমের ড্রাইভ।

এছাড়াও পার্কের ভেতরে বিয়ে, সুন্নতে খাতনা, জন্মদিন সহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার, বিভিন্ন অফিসের সেমিনারের জন্য উন্নত মানের রুম সহ বিভিন্ন কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
সরোজমিনে দর্শনার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, দানবির আলহাজ আলাউদ্দিন সাহেব তিনি যেমন শিক্ষানুরাগী তেমনি ভ্রমণপিপাসু ও বটে।

আর এই জন্যই আলাউদ্দিন নগর এর পাশেই এত সুন্দর একটি পার্ক নির্মাণ করেছেন।
ঘুরতে আসা তুষার জানান, কুঠিবাড়ি এসেছিলাম পথের মাঝে এমন একটি পার্ক দেখে ভিতরে ঢুকে খুব ভালো লাগছে।

তনিমা খাতুন জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ভেতরের স্বতঃস্ফূর্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পার্কের কর্মীদের সাবলীল ব্যবহার সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করেছে।

 

কুমারখালী উপজেলা বাসীর ধারণা, দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মাণ কাজ শেষ হলে কুষ্টিয়া জেলায় নয় সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বলে স্থান দখল করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *