Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে ৫ জনের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি :

বগুড়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানসহ পৃথকভাবে বিষাক্ত মদপানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা পুলিশ বিভাগ বলছে, মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ চলছে এবং মরদেহ ময়না তদন্ত করা হবে।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকায় রবিবার রাতে অ্যালকাহোল জাতীয় মদপান করেন স্থানীয় কাটনার পাড়ার কুলি শ্রমিক সাজু মিয়া (৩৫), হোটেলের বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০) ও ফুলবাড়ি সরকার পাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে শ্রমিক পলাশ সরকার (৩৫)। রাতে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনজনই মারা যান। পুলিশ বলছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে মোজাহার আলী পূর্বে থেকে হৃদরোগে ভুগছিল এবং সে রোগেই সে মারা যায়।

এছাড়া বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া এলাকায় রবিবার রাতে এক যুবকের বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক হোমিও ওষুধের দোকান থেকে মদপান করেন ওই এলাকার বাসিন্দা প্রেমনাথের ছেলে সুমন রবিদাস (৩৮), রাজমিস্ত্রি রমজান আলীসহ (৪০) কয়েকজন। মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার সুমন, তার বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ প্রতিবেশি রমজানও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ভোরে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া রমজান আলীকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানোর কিছু পরে মারা যান। সদর থানা পুলিশ বলছে, রমজান আীল মদপানে নয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

 

বগুড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবিরাজ তরুন কুমার চক্রবর্তী জানান, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড় এলাকাটি তার পৌরসভার ওয়ার্ডের মধ্যে। মারা যাওয়া তিনজনই কালিতলা বাজার এলাকায় অতিরিক্ত অ্যালকাহোল পান করে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মারা গেছে।

 

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে সুমন, সাজু, ও পলাশের লাশ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। বাকি দুইজন রমজান আলী ও মোজাহার আলী আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

 

এদিকে অসুস্থ হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চার জন হলেন শহরের তিনমাথা এলাকার রামনাথ রবিদাস (৪৫), প্রেমনাথ রবিদাস (৫০), রবিনাথ রবিদাস (৬০) এবং শিববাটি এলাকার রঞ্জু মিয়া (৪০)। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে পালিয়ে গেছে রবিনাথ রবিদাস।

Exit mobile version