আলটিমেটাম দিয়ে রবিবার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক :

 

পুলিশের বাধার মুখে আলটিমেটাম দিয়ে স্থগিতকৃত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে করা আন্দোলন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার শাহবাগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে কয়েক দফায় পুলিশের বাধা পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে স্থগিতের ঘোষণা দেয় তারা।

 

বৃহস্পতিবার কর্মসূচি শুরুর আগে ও আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আগামী রবিবারের মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর মুক্তি ও পরীক্ষার স্থগিতাদেশ বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

 

এর আগে, গত সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগে এসে জড়ো হতে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির শুরুর আগেই ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে আন্দোলন করতে চাইলে জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাদের আটকে দেওয়া হয়।

 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে সহযোগিতা ও আটককৃতদের তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলে পুলিশ। তবে আটককৃতদের ছাড়া যেতে রাজি না হয়ে তারা শাহবাগ থানার গেটের পাশে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাক্কাধাক্কি করে রাজু ভাস্কর্যের দিকে সরিয়ে দেয়। এ সময় তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিতে দেখা যায়।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ‘ভিপি নুরুর লোক’ আখ্যা দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে সরিয়ে দিয়েছে। যদিও তারা কোনো দলের হয়ে আসেননি। তাদের অনার্স-মাস্টার্সের অল্প কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাকি আছে। এমন পর্যায়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। সাত কলেজের চলমান পরীক্ষা নেওয়া গেলে তাদের পরীক্ষা নিতে সমস্যা কোথায়? কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

 

পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, শাহবাগ অনেক ব্যস্ত একটা জায়গা। অনেক হাসপাতাল রয়েছে। জনদুর্ভোগ এড়াতে এ রাস্তায় যান-চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীদের উঠে যেতে বলেছি। তাদের কিছু বলার থাকলে প্রেস ক্লাবে গিয়ে বলবেন। সেখানে অনেক সাংবাদিক থাকেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *