কক্সবাজারে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার এসআইসহ ৩ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

 

কক্সবাজার শহরে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন শামিম এ আদেশ দেন।

 

অপরদিকে, গ্রেফতার ৩ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-কক্সবাজার সদর মডেল থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর-ই খোদা সিদ্দিকী, কনস্টেবল মুমিনুল মামুন ও মামুন মোল্লা।

 

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন শামীম ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

ছিনতাইয়ের শিকার রোজিনা খাতুনের স্বামী রিয়াজ আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীক কাজে তার স্ত্রী আত্মীয়স্বজন থেকে ৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়িতে রাখেন। সোমবার সাদা পোশাকধারী পাঁচজনের একটি দল বাসায় ঢুকে তার স্ত্রীকে মারধর করে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়।

 

পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ৯৯৯ নাইনে ফোন করে বিষয়টি সদর মডেল থানা পুলিশকে জানানো হয় এবং ঘটনাস্থলে আটক একজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আহত তার স্ত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

কক্সবাজার সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে তিন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী রোজিনা আকতারকে পিস্তল ঠেকিয়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই করে। চলে আসার সময় রোজিনা আকতার চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে।

 

পালানোর সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে লোকজন। তবে অন্য দুজন পালিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী রোজিনা আকতারের এজাহার মতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার ৩ পুলিশ সদস্যকে দ্রুত বিচার আইনে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতার ৩ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *