ইকরামুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া থেকে পূর্ণিমা রাণী (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সে বাগআঁচড়া বেলতলার রবিন দাসের মেয়ে। এঘটনায় মেয়েকে হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখন নিদারুণ কষ্ট এবং চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন পার করছে।
পূর্ণিমা রাণীর দাদা সাধন দাস বলেন, আমার পাশের বাড়ির নূরজাহান, স্বামী অজিয়ার রহমানের বাসায় আকবার ও শালার বউ রুমাকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলো । ধারণা করা হচ্ছে আকবারের সহযোগীতায় পূর্ণিমা কে নিয়ে পালিয়ে গেছে রুমাও আকবার নামের ওই মহিলা। আকবারের বাসা ঝিকরগাছা থানাধিন শিওরদাহ গ্রামে, ওর বাবা একজন কামার ছিল। অজিয়ারের বাসায় ২০/২২ দিন আগে এসেছে তার শালা আকবার ও স্ত্রী রুমা খাতুন। এই রুমা প্রতি নিয়ত পূর্ণিমার সাথে এক জায়গায় বসতো কথা বলতো । কখনো কখনো অজিয়ারের বাসায় পূর্ণিমা গিয়ে আকবার ও রুমা খাতুন একসাথে কথা বলেছে । রুমা ও আকবার মিলে পূর্ণিমাকে অজ্ঞান করে দূরে কোথাও নিয়ে গেছে বলে জানা যায় ।
ছবি দাসের স্ত্রী বিশা খাঁ বলেন, মার্চের ৪ তারিখ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে রুমা ও পূর্ণিমা রবিন দাসের বারান্দায় বসে কথা বলছিলো । কিছুক্ষণ পরে রুমা উঠে চলে যাওয়ার সময় একটা হাত শাড়ির আঁচলের নিচে লুকানো ছিলো। মনে হচ্ছিল কিছু রাখা আছে আঁচলের নিচে। আমি কিছু মনে করি নি কারণ পূর্ণিমা সামনে বসা ছিলো এবং আকবার রাস্তায় দাঁড়ানো ছিল। আমি সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কাজ শেষ করে ৩০ মিনিট মত পরে দেখি পূর্ণিমা নাই । পূর্ণিমার বাবা রবিন দাস বলেন, আমার মেয়েকে আকবার ও স্ত্রী রুমা খাতুন নিয়ে পালিয়েছে। এই বিষয়ে আমি শার্শা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এই বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম জানান, পূর্ণিমা রাণী নিখোঁজ এর বিষয়ে থানাতে একটা অভিযোগ হয়েছে। আমারা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। নিখোঁজ পূর্ণিমা রাণীকে হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি আজ দিশেহারা। এঅবস্থায় মেয়েকে সার্বক্ষণিক খুঁজে ফিরছে মা বাবার নিথর চোখ।
অতি দ্রুত হারানো মেয়েকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে প্রশাসন এমনটি প্রত্যাশা ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর।