ফোন পাশে রেখে ঘুমান? যেসব বিপদ হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক :

 

দিন বা রাত অধিকাংশ সময়ই সেল ফোনটিকে হাতছাড়া করতে চাই না আমরা। সারাক্ষণ ফোনেই মুখ গুজে কেটে যায়। হোকা সেটা কোন কাজে বা হোক ফেসবুক স্ক্রোলিং করতে। এমনকি ঘুমানোর সময়ও ফোন একেবারে পাশে রেখে ঘুমায় যায়। দিনের পর দিন এ অভ্যাস হতে থাকলে সাবধান হতে হবে।কারণ ঘুমানোর সময় পাশে ফোন রাখলে অনেক সমস্যা হতে পারে।

 

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়: অনেকেই আছেন, বিছানায় পড়া মাত্র ঘুমিয়ে যান। নিয়মিত ভালো ঘুম হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম আসতে চায় না। এক্ষেত্রে রাত জেগে থাকার অভ্যাস, অনিদ্রা বা ঘুম না ধরার পিছনে ফোনও কিন্তু একটি বড় সমস্যা। বেশ কয়েকটি সমীক্ষাতেও একই তথ্য উঠে এসেছে। আসলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শরীর ও মস্তিষ্কও একটা প্রস্তুতি নেয়। হালকা হতে চায়। কিন্তু ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেম খেললে, সোশ্যাল সাইটে চ্যাটিং করতে থাকলে ঘুমোনোর জন্য সেই শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া যায় না।

 

স্লিপ সাইকেলে বাধা হয়ে দাঁড়ায়: অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মানুষজনের সার্কাডিয়ান রিদমের একটি যোগ রয়েছে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কাজকেও প্রভাবিত করে। স্বভাবজাত ভাবে ঘুমের একটি চক্র থাকে। অর্থাৎ মানুষ মাত্রই একটি স্বাভাবিক স্লিপ সাইকেল রয়েছে। যা সম্পূর্ণ হওয়া মাত্রই ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু রাত জেগে ফোন ব্যবহার করলে, বা ফোনের প্রতি আসক্ত থাকলে সেই স্লিপ সাইকেল ব্যাহত হয়। এক্ষেত্রে ফোনের এই ব্লু লাইট থেকে বাঁচতে হলে ঘুমোতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই ফোনের ব্যবহার ছেড়ে দিতে হবে।

 

তেজস্ক্রিয় বিকিরণ:  অনেকেই দাবি করেন, ফোনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে ক্যানসার হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও গবেষণাধীন। ১৯৯৯ সালে ইঁদুরদের উপরে সেল ফোনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। তাদের শরীরে ম্যালিগন্যান্ট-সহ সাধারণ টিউমারও দেখা যায়। তবে অধিকাংশ গবেষণাই এই বিষয়টিকে অস্বীকার করেছে। তবে সচেতনতাই সব চেয়ে ভালো পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে ফোনটিকে দূরে সরিয়ে রাখাই শ্রেয়। যদি ঘুমোনোর সময় গান শোনা বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ কল করতে হয়, তাহলে ইয়ারবাড বা ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

তাহলে প্রশ্ন হতে পারে রাতে ঘুমানোর সময় ফোন কোথায় রাখবো। ফোন আপনার ঘরেই রাখেন। তবে তা যেন অন্তত তিন ফুট দূরত্ব হয়। এতে করে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকবে।

সূত্র: নিউজ১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *