ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি খুঁড়তেই মিলল কাঁসার কলসভর্তি মুদ্রা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

 

মাটি খুঁড়তে গিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এক স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে কলসভর্তি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

জানা যায়, বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশব চন্দ্র নিজ বাড়িতে শনিবার সকালে সেপটি ট্যাংক স্থাপনের জন্য মাটি খনন করছিলো। এক পর্যায়ে শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ খননকালে মাটির ভিতরে একটি ধাতব পাত্র ( কাঁসা’র কলস) ভর্তি মুদ্রা দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিক কেশব চন্দ্র বর্মণকে দিয়ে দেন। ধাতব পাত্র পাওয়ার বিষয়টি এক পর্যায়ে ফাঁস হয়ে যায়। ঘটনার ৩ দিন পর এলাকায় গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ কলসভর্তি মুদ্রাগুলো এক পলক দেখার জন্য বাড়িতে ভির জমায়।

এদিকে খবর পেয়ে সোমবার (১৫ মার্চ) রাত ১১ টায় সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের মৃত শান্ত কুমার বর্মণের ছেলে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র’র বাড়ি থেকে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায়ের নেতৃত্বে এসআই মনির হোসেন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে ধাতব পাত্রটি উদ্ধার করেন।

 

শ্রমিক মহেন্দ্র জানান, মাটি খননকালে কাঁসার কলস ভর্তি মুদ্রা পাই। ধারনা করছি মুদ্রাগুলো রূপার। পরে আমি বাড়ির মালিকর হাতে তুলে দেয়। তবে মালিক আমাকে বলেছেন মুদ্রা পাওয়ার বিষয়টি যাতে কেউ না জানে। তবে মুদ্রা পাওয়ার ব্যাপারে স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্রের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

এলাকাবাসী ও শ্রমিক মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলছেন, মাটির ভিতর থেকে উদ্ধারকৃত পাত্রটি ভর্তি ছিলো মুদ্রা। যার ওজন আনুমানিক ৫-৬ কেজি। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে পাত্রে শুধু ১৪৩টি মুদ্রা ছিলো। প্রতিবেদক থানায় তথ্য নিতে ওসির কক্ষে গেলে কক্ষ তালাবদ্ধ পেয়ে ডিউটি অফিসারের রুমে গেলে তাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করার পর তিনি বলেন, ওসি স্যারের হুকুম ছাড়া কাউকে কোন তথ্য দেওয়া যাবে না। তবে একটি জিডি করা হয়েছে। জিডির নম্বর জানতে চাইলে তিনি অশোভন আচরণ করেন। এ বিষয়ে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, আমি বাইরে আছি। এখন কথা বলতে পারবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *