গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

অনলাইন ডেস্ক :

 

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেয়েছে। মঙ্গলবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে রেকর্ডটি যুক্ত হয়েছে।

 

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ কর্মসূচির জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ যে ১০০ বিঘা জমিতে করা হয়েছে তাতে প্রায় তিন হাজার মণ ধান মিলবে। সেটা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে দেওয়া হবে। ২০১৯ সালে চীনে গড়া হয়েছিল ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র, যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন দাঁড়াচ্ছে ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। মোট ১২০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হয়েছে।

 

মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়া হচ্ছে ১০০ বিঘা জমিজুড়ে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোনো স্থানে হয়নি। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দু’ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হয়েছে।

 

ধানের চারা চীন থেকে নেওয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপনের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে উঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে জমি লিজ নেওয়া হয়েছে।

 

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মঙ্গলবার পৌনে ৪টায় ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এটা আমাদের বড় অর্জন। দেশের জন্য বড় অর্জন। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটিও তার একটি মাইলফলক। শেখ হাসিনা শুরু থেকেই আমাদের সাহস যুগিয়েছে বলেই আমরা এই অর্জন করতে পেরেছি। এই অর্জন পুরো বাঙালি জাতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *