বগুড়া প্রতিনিধি :
এবার নিজের ছেলের মাথায় আঘাত করার অজুহাতে হাফেজিয়া মাদ্রাসার এগারো বছরের শিশুকে পায়ের নিচে ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজারস্থ হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রের নাম জাহিদ হাসান। তিনি স্থানীয় মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন মদনপুর গ্রামের ওবায়দুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে ভুক্তভোগী ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থী পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আল আমিনকে (৩৯) আটক করা হয়। পরে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে।
নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা জাহিদ হাসান বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। এমনকি কারও মাথায় আঘাতও করিনি। এরপরও মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে ব্যাপক মারপিট করা হয়। এমনকি মাদ্রাসা একটি কক্ষে আটকে রেখে সকালের খাবারও খেতে দেওয়া হয়নি। হুজুরের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে এলোপাতাড়িভাবে বেত্রাঘাত করে আহত করা হয় অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন জানান, এই কৃতকর্মের জন্য তিনি খুবই অনুতপ্ত ও ক্ষমা প্রার্থী। শাসন করার সময় রাগের বসে এটি হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর কোনোদিন এ ধরণের কাজ হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উভয়পক্ষকে শনিবার দুপুরে থানায় ডাকা হয়। কিন্তু নিজেরাই বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করে মীমাংসা করে নিয়েছেন বলে জানায়। সেইসঙ্গে থানায় দেওয়া অভিযোগটি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তাই উক্ত ঘটনায় থানায় কোনো মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।