কুষ্টিয়া শহরে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি সংকট

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কুষ্টিয়া শহরে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। শহরের অধিকাংশ টিউবওয়েল দিয়ে আর পানি উঠছে না। এমনকি পানির অগভির পাম্পেও পানি উঠছেনা। এতে শহরে চরম পানি সংকট দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভাও ও অনেক অঞ্চলে পানি বন্ধ করে দিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, আমাদের মেশিনেও পানি কম উঠছে তাই সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। প্রধান নির্বাহী জানান, পানির প্রেসার কম থাকায় আধা ইঞ্চি লাইনে পানি যাচ্ছে না। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এর সমাধান দেখছেন না অনেকেই। শহরে তীব্র পানি সংকটের কারণ হিসেবে হঠাৎ কুষ্টিয়া শহরে সাবমার্সিবল টিউবওয়েল বেড়ে যাওয়াকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

পানি নিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প মাটির গভীর থেকে পানি টেনে তুলছে। ফলে মাটির উপরিভাগের পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। যার কারণে টিউবওয়েল বা সাধারণ পানির পাম্প আর পানির স্তর পাচ্ছে না। এর সমাধান হিসেবে তিনি আরো জানান, দ্রুত সাবমার্সিবল পাম্প বা গভীর নলকূপ স্থাপন বন্ধ না হলে অদূর ভবিষ্যতে শহরে আরো ভয়াবহ পানির অভাব দেখা দিবে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভা জানায়, পানির সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আগামিতে পানির এত সমস্যা হবেনা। শহরের বাসিন্দা শেখ আকতার জানান, দ্রুত কুষ্টিয়া শহরের অন্তত দুইটি পানি শোধনাগার তৈরী করে গড়াই নদী থেকে পানি এনে এবং বৃষ্টির পানি ধরে রেখে বিশুদ্ধ করে সারবরাহ করতে হবে। তাহলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে।

পরিবেশ কর্মী আশরাফুল ইসলাম জানান কুষ্টিয়া শহরে গভীর নলকূপের সংখ্যা এত বেশী বেড়ে গেছে যে খরা মৌসুমে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এভাবে অধিক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারনে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ জন্য শহরের সকল খাল পুকুর উদ্ধার করে বর্ষার পানি ধরে রাখতে হবে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার পানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, অপরিকল্পিত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য শহরের পানির স্তর প্রায় ২০-২৫ ফুট নেমে গেছে। বাসা বাড়ীতে বর্তমানে সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করায় আশেপাশের গ্রাহকরা পানি পাচ্ছে না। সাবমার্সিবল অনুমোদন প্রসঙ্গে জানান, নতুন বর্ধিত পৌর অংশে পানির লাইন না থাকা ও শহরের অন্য জায়গায় চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ একটু কম থাকায় বিষয়টি একটু ছাড় দেওয়া হয়েছিলো। তবে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *