চোখের যত্নে ১০ টি উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিন আট-নয় ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ, বাড়ি ফিরে টিভি দেখা, রাতে শোওয়ার আগে ফেসবুক। এ ছাড়া সারাদিন ফোনে খুটখুট তো আছেই। চোখের কি আর বিশ্রাম আছে? তবে চোখের বিশ্রামের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে যত্ন নেওয়ারও। জেনে নিন কী ভাবে রোজ যত্ন নেবেন চোখের।

১। চোখের এক্সারসাইজ: প্রতি দিন শরীরের এক্সারসাইজের সঙ্গেই চোখের এক্সারসাইজও করা প্রয়োজন। চোখের পেশির ব্যায়াম করলে প্রতি দিন চোখের মণি রোল করুন। ক্লকওয়াইজ ১২ বার, অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ ১২ বার।

২। ডায়েট: চোখের এক্সারসাইজ যেমন প্রয়োজন তেমনই দৃষ্টিশক্তি সজাগ রাখতে ডায়েটের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ডায়েটে রাখুন প্রচুর রঙিন ফল, শাক-সব্জি, তেলযুক্ত মাছ, আমন্ড ও ডিম। ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখবে।

৩। জলের ঝাপটা: চোখ পরিষ্কার রাখাও অত্যন্ত জরুরি। তাই দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে পরিষ্কার করে চোখ ধুয়ে নিন।

৪। আই প্যাড: চোখে আরাম দিতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা জলে তুলো ভিজিয়ে চোখে চাপা দিয়ে রাখুন, শশার টুকরো কেটে চোখের উপর কিছু ক্ষণ চাপা দিয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। এতে ক্লান্তি যেমন কাটবে, তেমনই চোখের তলার কালিও দূর হবে।

৫। আই ড্রপ: চোখ ক্লান্ত লাগলে বা কটকট করলে আই সুদিং ড্রপ দিতে পারেন। এই সব ড্রপ চোখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

৬। অন্ধকার: অন্ধকার ঘরে টিভি দেখা বা অপর্যাপ্ত আলোয় পড়াশোনা করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এতে চোখে স্ট্রেস পড়ে।

৭। বিশ্রাম: সারা দিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করে চোখে এমনিতেই চাপ পড়ে। বাড়ি ফিরে তাই যতটা সম্ভব চোখকে বিশ্রাম দিন। টিভি দেখা বা ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন।

৮। ঘুম: ঘুম কম হলে শরীর যেমন ভেঙে যায় তেমনই চোখের উপরও চাপ পড়ে। চোখ ক্লান্ত লাগার ফলে খুলে রাখতে কষ্ট হয়। জোর করে চোখ খুলে রাখলে আরও বেশি চাপ পড়ে চোখে।

৯। কচলাবেন না: অনেকেই চোখ কটকট করলে, কোনও সমস্যা হলে বা ঘুম পেলে হাত দিয়ে চোখ কচলান। এতে হাতের ময়লা চোখে গিয়ে ক্ষতি যেমন হয়, তেমনই চোখের চারপাশে রক্তজালিকা ছিঁড়ে গিয়ে কালি পড়ে।

১০। পরীক্ষা: চোখ খুবই সংবেদনশীল অঙ্গ। তাই যদি আপনার দিনে আট-নয় ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা অভ্যাস হয় তাহলে নিয়মিত চোখে পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *