১৪ এপ্রিল থেকে সব অফিস বন্ধ, কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক :

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় মানুষের চলাচল ও কার্যক্রমে বিধি-নিষেধ আরোপের পর আগামী ১৪ এপ্রিল (বুধবার) থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

 

সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিতসহ বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধের সময় এসব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, নৌ ও স্থলবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

 

গত বছরের শেষে এবং এ বছরের শেষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যেতে থাকলেও মার্চ থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। এরপর গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু রেখে এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

 

কিন্তু বিধি-নিষেধ শুরু হলে গণপরিবহনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে বিক্ষোভের মুখে ৭ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দেয়। তবে শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদেরও আন্দোলনের মধ্যে ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ৮ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

 

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা যাওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ থেকে কঠোর লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার মধ্যে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।

 

সর্বশেষ ১০ এপ্রিল দেশে করোনা সংক্রমণে মারা যায় ৭৭ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন এবং মোট মৃত্যু ৯ হাজার ৬৬১ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *