অনলাইন ডেস্ক : সাবেক স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারির ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ফেঁসে যাচ্ছেন কণ্ঠশিল্পী মিলা। মিলার সহকারী ও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী কিম জন পিটার হালদার রিমাণ্ডে বলেছেন, মিলার নির্দেশেই তিনি (কিম) পারভেজের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে।
কিম জন পিটার হালদার দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মিলার ‘মিউজিক রোবট’ ব্যান্ডদলে জিনিসপত্র বহনের কাজ করতেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে মিলার বিশ্বস্ততা অর্জন করেন এবং দেহরক্ষীর দায়িত্ব পান। পিটারকে কাজে এনেছিলেন তার এক মামাতো ভাই। যিনি মিলার ব্যান্ডদলে কি-বোর্ড বাজাতেন। পারভেজকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গত বুধবার রাজধানীর একটি এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পিটার।তিনদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার কিম জন পিটার হালদারকে নিম্ন আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে। তদন্তের তদারকি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিম আমাদের কাছে বলেছে, সে সানজারির ওপর এসিড ছুড়েছে। সে মিলার নির্দেশেই এসিড ছুড়েছে বলে ডিবির কাছে জবানবন্দিও দিয়েছে। তাকে আমরা আদালতে পাঠিয়েছি। তবে এখনো সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।’
জানা গেছে, তিনদিনের রিমান্ডে কিম ডিবিকে জানিয়েছে- ‘গত ২৫ মে বিকেলে মিলা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন সানজারি আমার জীবনটা নষ্ট করেছে। সানজারিকে তুই (কিম জন পিটার হালদার) তো কিছু করতে পারবি না, যা করার আমি নিজেই করব। তখন আমি মিলা আপুকে বলি যে, আমি কিছু একটা করবই। এ সময় মিলা আপুর সঙ্গে পরামর্শ করি সানজারির গোপনাঙ্গে এসিড দেব।’
কথা অনুযায়ী দিনই (২৫ মে) সন্ধ্যায় এসিড কিনে ২৬ ও ২৭ মে উত্তরায় সানজারির বাড়ির সামনে ইফতারের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করে কিম। কিন্তু সানজারিকে না পেয়ে ২ জুন বিকেলে আবার যায় কিম। সেদিন তাকে দেখা মাত্রই এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায় মিলার সহকারী।’
এদিকে মামলার তদন্তের বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদরুজ্জামান জিল্লু বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারি ২ জুন দুর্বৃত্তদের ছোড়া অ্যাসিডে দগ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর এ গায়িকার বিরুদ্ধে গত ৫ জুন অ্যাসিড হামলার অভিযোগে মামলা করেন এস এম পারভেজ সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা এ মামলায় মিলা ছাড়াও তার সহকারী পিটার কিমকে আসামি করা হয়।