অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গবেষকরা সবাইকে মাস্ক পড়তে নির্দেশনা দেন। কারণ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক কার্যকর একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে জোড়া মাস্ক পরলে সেই সুরক্ষা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা হেলথ কেয়ারের একদল গবেষকের করা নতুন একটি গবেষণায় এমন প্রমাণই পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, একটির বদলে মুখে যথাযথভাবে দুটি মাস্ক পরলে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী ক্ষুদ্রকণার ফুসফুসে ঢোকার শঙ্কা দ্বিগুণ হ্রাস পায়। জোড়া মাস্কের কল্যাণে যিনি মাস্ক পরেছেন তার নাক কিংবা মুখ দিয়ে ক্ষুদ্রকণা ঢুকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জেএএমএ ইন্টার্নাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ব্যাপারটা আসলে বেশি স্তর বলে নয়, দুর্বলভাবে মাস্ক পরার কারণে কোনো ফাঁক থাকার বিষয়টি পূরণ করার মাধ্যমেই জোড়া মাস্ক সংক্রমণ ঠেকাতে অধিক সুরক্ষার কাজটি করে থাকে।
স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি দশ ফুট বাই দশ ফুটের একটি এক্সপোজার চেম্বার তৈরি করে সেখানে অ্যারোসেলের মাধ্যমে ক্ষুদ্রকণা দিয়ে বেশ কিছু মাস্কের মাধ্যমে গবেষণায় দেখা হয়েছে যে, এসব মাস্ক প্রকৃতপক্ষে ক্ষুদ্রকণা নাকে বা মুখে ঢোকা ঠেকাতে কতটা কার্যকর।
এতে দেখা গেছে, সাধারণত ব্যক্তিভেদে মাস্কের কার্যকারিতা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ। কিন্তু যখন একটি সার্জিক্যাল মাস্কের ওপর আর একটি কাপড়ের মাস্ক পরা হয়, তখন কার্যকারিতা বিশ শতাংশ বেড়ে যায়। এছাড়া মাস্ক ভালোভাবে পরলে কার্যকারিতা আরও বাড়ে।