অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ মোটরসাইকেলে হাসপাতালে যাওয়া সেই মা ভালো আছেন

অনলাইন ডেস্ক :

 

হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা পড়ানো অবস্থায় ছেলের মোটরসাইকেলে চড়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শিক্ষিকা রেহানা পারভীন এখন আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ। রেহানা পারভীন নিজেই তার শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন তার স্বজনদের। করোনা ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ কোহিনূর বেগম রবিবার বিকেলে শিক্ষিকা রেহানা পারভীনের শারীরিক সুস্থতার খবর নিশ্চিত করেছেন।

 

রেহানা পারভীন (৪৮) নলছিটি পৌর শহরে স্বপরিবারে বসবাস করেন। তিনি নলছিট বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার ছেলে জিয়াউল হাসান ঝালকাঠী শাখা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

জিয়াউল হাসান জানান, গত সপ্তাহে তার মায়ের নমূনা সংগ্রহ করা হয় নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু এক সপ্তাহেও রিপোর্ট আসেনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছিলো। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে আসায় সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় তিনি কোমড়ে সিলিন্ডার বেঁধে মায়ের নাকে হাই ফ্লো নজেল ক্যানুলা পড়ানো অবস্থায় মাকে মোটর সাইকেলের পেছনের সিটে বসিয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি করেন। পথিমধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অতিক্রমকালে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে মোটরসাইকেল থামাতে এবং চলে যেতে বলেন। ওই সময় তিনি ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট করেন। এরপর থেকে অনেকেই ফোন করে তার মায়ের খোঁজ খবর জানতে চেয়েছেন। পরম করুনাময়ের ইচ্ছায় তার মা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন বলে তিনি জানান।

 

মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুল বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্টে ডিউটিরত অবস্থায় ওই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারন করেন তিনি। পরে করোনার ভয়াবহতা বোঝানোর পাশাপাশি এবং জনসচেতনতা বাড়াতে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *