Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

ইবি ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পেড়ে থাপ্পড় খেলেন শিক্ষার্থী

ইবি প্রতিনিধি :

 

ক্যাম্পাসের গাছ থেকে আম পাড়ায় সহকারী প্রক্টর কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী সস্ত্রীক হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসান আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

 

শুক্রবার সকালে ওই শিক্ষার্থী স্ত্রীসহ ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে খালেদা জিয়া হলের পাশের গাছ থেকে কয়েকটি আম ছিড়েন। এসময় সেখানে সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম উপস্থিত হলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর ওই শিক্ষার্থীকে সজোরে থাপ্পড় দেন ও পরে তাকে স্ত্রীসহ আবাসিক হলে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর।

 

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আজ আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় আমি ও আমার স্ত্রী (একই বিভাগের ছাত্রী) এবং বাসার মালিকের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর ঘুরতে যাই। একপর্যায়ে সাড়ে ১১টার দিকে আমরা আম গাছ থেকে ৮-১০টি আম সংগ্রহ করি। ইতিমধ্যে সেখানে সহকারী প্রক্টর আরিফ স্যার উপস্থিত হন। তিনি গাছ থেকে নেমে আসতে বললে আমি নেমে আসি।

 

অভিযোগপত্রে তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যারকে চিনতে না পারায় তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে বলি যে, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তা সত্বেও স্যার আমাকে বলেন যে, ছাত্র হইছিস তো কি হয়েছে? আমসহ সামনে দাঁড়া তোর ছবি উঠাব! এরপর আমি আমার ভুল স্বীকার করি, এমন আর হবে না। তবুও তিনি বলেন যে, ক্যাম্পাসে কি অরাজকতা পাইছিস? এভাবে ক্যাম্পাসের ফল ফলাদি নিয়ে যাস! তোদের কারণে ক্যাম্পাসে কিছু থাকে না। একপর্যায়ে তিনি আমার গালে থাপ্পড় দেন এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আমাদের আটক করে রাখেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাকে থাপ্পড় মারার কারণে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী আমার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকলে একপর্যায়ে রেগে গিয়ে তাকে থাপ্পড় দিয়েছি। আমি আমার অধিকারের জায়গা থেকে এটি করেছি।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, বিকেলে লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। আগামীকাল সবাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করব।

Exit mobile version