দুই পক্ষ মুখোমুখি ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের

ন্যাশনাল ডেস্ক: বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। মাওলানা জুবায়ের ও দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারী দুই পক্ষের হাজার হাজার মুসল্লি পৃথকভাবে টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দান ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে আশুলিয়ার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে আজ শনিবার টঙ্গী ও রাজধানীর বিমানবন্দরসংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।এই দুই পক্ষের বিরোধিতার কারণে আসছে বছরের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত ঘোষণা করেছে সরকার। গত ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষ ছাড়াও পুলিশের আইজি, ধর্মসচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হওয়ার কথা ছিল।প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারের ওই ঘোষণার পর থেকে সময়ে সময়ে দুই পক্ষ জায়গায় জায়গায় অবস্থান নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। সবশেষ আজ ভোর থেকে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ইজতেমার ময়দানের ভেতর ও প্রধান প্রবেশপথগুলো মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা দখল করে আছেন। অন্যদিকে, মাওলানা সাদের অনুসারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে আশুলিয়ার দিকে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। কয়েক হাজার মুসল্লি সড়কে অবস্থান নেওয়ায় রাস্তা সরু হয়ে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে। একে সেখানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, মুসল্লিরা এমনিতে যান চলাচলে কোনো বাধা দিচ্ছেন না এবং কোনো সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।জাহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইজতেমার মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।ঘটনার জের ধরে রাজধানীতে বিমানবন্দরসংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর চত্বরে ফুটওভার ব্রিজের কাছে এখনো একটি পক্ষ অবস্থান করছে। জানা গেছে, তাঁরা মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী। ঢাকা থেকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা যেন টঙ্গীতে গিয়ে তাঁদের পক্ষের মুসল্লিদের সঙ্গে যোগ দিতে না পারেন, সে কারণে তাঁরা প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে দেখছেন। যাত্রীদের মধ্যে মুসল্লি কেউ থাকলে তাঁকে নামিয়ে দিচ্ছেন। ফলে সেখান থেকে টঙ্গীগামী যানবাহন একটি একটি করে চলছে। বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া মুসল্লিদের অনেকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন। অন্যদিকে, টঙ্গী থেকে ঢাকাগামী যানবাহনও আসতে পারছে না।উত্তরা জোনের ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার জুলফিকার জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ফজরের নামাজের পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *