কিশোরগ্যাং,মাদক ব্যাবসায়ি ,চোরের উপদ্রব নিয়ে কুষ্টিয়াবাসীর অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বাইরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস ও মৃত্যুর আতঙ্ক, আর বাড়ির মধ্যে চুঁরির আতঙ্ক। এই করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে চোর সমাজে চলছে ব্যাপক আয়োজন । মসজিদের করোনা আতঙ্কে মুসুল্লী সংখ্যা কম, চুঁরি হচ্ছে ইমাম-মোয়াজ্জীনের সাইকেল। জানালা খোলা রেখে বাসা বাড়িতে মানুষ একটু টিভির পর্দায় খবর দেখার সময় চুঁরি হচ্ছে মোবাইল ,ল্যাপটপ,গহনা ,ট্যাব সহ নানা অতি প্রয়াজনীয় সরঞ্জাম।

এদিকে পেটের দায়ে লকডাউনের মধ্যে শহরে প্রশাসনের ভয়ে চালাতে পারছে না ভ্যান-রিস্কা-ইজি বাইক । এই সুযোগে চোর-ছিনতায়কারী ভ্যান-রিস্কা-ইজি বাইক চালককে নিয়ে একটু শহর তলীতে নিয়ে কেরে নিচ্ছে জীবনে সমস্ত সঞ্চয়ের টাকায় কেনা ভ্যান-রিস্কা-ইজি বাইকটি। আর শহরে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা তো হর-হামেশা ঘটছে।

বজলার মোড় থেকে নিশান মোড় পর্যন্ত প্রশাসনের প্রায় সব বড় বড় কর্মকর্তাগন বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকেন ।

এলাকায় বসবাসরত প্রবীন ব্যাক্তিগন বলেন, এ সুযোগে চাঁদাগাড়া মাঠ ,বজলার মোড় থেকে নিশান মোড় যেতে হাতের বামে খেলার মাঠ বা ভেটুলতলা সন্ধার ইফতারের পরে কিশোরগ্যাং,মাদক ব্যাবসায়ি ,চোরেদের বিনোদনের যায়গা হয়ে ওঠে । এদের জন্য রাস্তায় হাটার অবস্থা থাকে না । এদের কি পুলিশ প্রশাসন চোখে দেখে না ।

সাহ্রীতে ডাকার জন্য যারা রাস্তায় বের হন, বিভিন্ন এলাকার নাইট গার্ড তাদের , গাছের ফল-মুুরগী -কবুতর সহ নানা জিনিস চুরি করতে দেখেছেন বলে অভিযোগ করেন ।

কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার সাধারন ভুক্তভোগী মানুষের কাছে এই সকল চুরির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন , কিশোরগ্যাং,মাদকসেবী,চোর,মাদক ব্যবসায়ি সবাই একই মানুষ, পরিবেশের সাথে রঙ বদলায় পুলিশ প্রশাসন একই লোককে বিভিন্ন অভিযোগে আটক করেন কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে ছেড়ে দেন কেন । তাহলে এরা কি প্রশাসনের থেকে ক্ষমতাশালী ।

ভুক্তভাগীরা বলেন, ২০১৯ সালে রমজান মাসে সারা বাংলাদেশ ব্যপি মাদক জিরো টলারেন্স করতে প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, বর্তমানে কুষ্টিয়াতে সেই ধরনের পদক্ষেপ নিলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো ।

মোবাইল ফোনে (অফিসার্স ইনচার্জ, কুষ্টিয়া সদর থানা) জনাব, মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, আমরা প্রতিদিন এই ধরনের বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করি। কুষ্টিয়াবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা চিন্তা করে । কিশোরগ্যাং,মাদক ব্যাবসায়ি ,চোর এবং অন্যান্য অপকর্মকারীর বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো ইন্সাআল্লাহ ।

কুষ্টিয়া শহরের মানুষ বিনীত অনুরোধ করেছেন, কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অফিসার্স ইনচার্জ ও প্রশাসনের উর্দ্ধনত কমকর্তাদের কাছে, অতি দ্রুত এই সমস্ত কিশোরগ্যাং,মাদকসেবী,চোর,মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন এবং কুষ্টিয়ার মানুষের ঘরে ও বাইরে শান্তি ফিরিয়ে দিন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *