কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়িয়ায় দাফনের ২৬ দিন পর ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধূ শিলার (৩২) লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জলের স্ত্রী।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বনি আমীনের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) পীযুষ কান্তি কর্মকার বলেন, লাশ দাফনের ২৬ দিন পর শিলার ভাই আব্বাস মিয়া থানায় অভিযোগ করেন। পরে কোর্টের নির্দেশে থানায় গত ৪ মে মামলা রুজু হয়। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী আব্বাস মিয়া বলেন, ১৪ বছর আগে উজ্জলের সাথে বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকা ও সেনাবাহিনীর চাকরির জন্য বোনকে ওরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ওরা বোনকে ১৯ এপ্রিল দুপুরে হত্যা করে এবং ২০ এপ্রিল সকাল ৯ টায় বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।