দীর্ঘসময় কাজ করায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক :

 

 

 

 

 

সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত কাজ করার কারণে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। মহামারিতে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিওএইচও)।

 

 

 

 

 

এক গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘসময় পরিশ্রম করা মানুষের সংখ্যা বর্তমানে শতকরা ৯ ভাগ বেড়েছে। দীর্ঘ সময় কাজ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে করা গবেষণাটির ফলাফল বিশ্ব এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে অতিরিক্ত কাজ করার কারণে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ, যা ২০০০ সালের তুলনায় শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ বেড়েছে।

 

 

 

 

ডব্লিওএইচওর পরিবেশ অধিদফতরের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক মারিয়া নায়রা বলেন, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চাই, গবেষণার এই তথ্যটির মধ্য দিয়ে কর্মীরা আরও বেশি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাক।

 

 

 

 

 

সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেয়েসুস মনে করেন, করোনায় অনেক মানুষের কাজের পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে, বাড়ি এবং কাজের মধ্যে তেমন পার্থক্যও থাকছে না।

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো কাজই জীবনের চেয়ে বেশি মূল্যবান নয়। কর্মীদের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা, সরকার ও কর্মীদের একমত হওয়া দরকার।

 

 

 

 

 

ডব্লিওএইচও এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) অনুমান করেছে যে, সপ্তাহে কমপক্ষে ৫৫ ঘণ্টা কাজ করার ফলে ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৯৮ হাজার জন মানুষ স্ট্রোক এবং ৩ লাখ ৪৭ হাজার জন হৃদরোগে মারা গেছেন। ২০০০ এবং ২০১৬ সালের মধ্যে দীর্ঘসময় কাজ করার কারণে স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ৪২ ভাগ এবং হৃদরোগে মৃত্যু বেড়েছে শতকরা ১৯ ভাগ।

 

 

 

 

 

সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার তুলনায় ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করলে স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ এবং হৃরোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি শতকরা ১৭ ভাগ বেশি থাকে।

 

 

 

 

 

গবেষকরা বলেছেন, ২০১৬ সালে অতিরিক্ত সময় কাজের চাপের শিকার শতকরা ৭২ ভাগই ছিলেন পুরুষ এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবয়সী বা তার বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ।

সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *