বর্ষাকালে করোনাভাইরাস সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক :

 

 

 

 

 

 

 

করোনা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। তারপর আবার দরজায় কড়া নাড়ছে বর্ষা। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো রোগ দ্রুত সংক্রমিত হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্ত রোগ আমাদের হজমশক্তিকে দুর্বল করে তোলে। সেই কারণেই আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে৷ এই সময় কী খাবেন, কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন-সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকগণ।

 

 

 

 

 

 

কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রতি বছর বর্ষার সময়ে অপ্রত্যাশিত রোগগুলো বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে করোনার সংক্রমণের পাশাপাশি এই রোগগুলোও বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। একাধিক সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, মহামারী সৃষ্টিকারী বিভিন্ন রোগ বর্ষায় তার প্রভাব ও সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এই সময়  ডিম, দুধ, মাংস এবং ডালের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবারগুলো অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।

 

 

 

 

 

 

শরীরকে হাইড্রেট রাখতে বেশি করে পানি খেতে হবে। যাতে শরীরে পানির অভাব না হয়। দিনে কম করে ৮ গ্লাস পানি খাওয়া দরকার। পানির বিষয়ে অবশ্যই খুব সচেতন হতে হবে।

 

 

 

 

 

 

দই ও অন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। বর্ষাকালে আপেল, পেয়ারা, কলা, নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণের চেষ্টা করুন। এছাড়া, দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

 

 

 

 

 

 

কী করবেন, কী করবেন না

বৃষ্টিতে যেনো না ভিজে যান সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরেই গোসল করে নিন। তারপর শরীর ভালোভাবে মুছে নিন। চোখে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস বা চোখ চুলকানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

কারও কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা হলে আলাদা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে সেই চোখ মুছতে হবে। সমস্যা সেরে গেলেও কিছুদিন এটা মেনে চলতে হবে। কারও চোখে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই  বারবার বিছানার চাদর বদলানো, বালিশের কভার বদলান৷ চোখে ঠান্ডা সেঁক নিয়মিত দিতে হবে। নিয়মিত ব্যয়াম করুন, পর্যাপ্ত ঘুমান, তাতে শরীর সুস্থ থাকবে।

 

 

 

 

 

 

ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাস্ক পরবেন না

ভিজে বা স্যাঁতস্যাঁতে মাস্ক মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাসের সহজ প্রবেশপথ হয়ে উঠতে পারে। মাস্ক যত দামি হোক না কেন, ভিজলেই তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।  ভিজে মাস্কে শরীরে জীবাণু ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। মাস্কের ভেজা অংশে ভাইরাস জন্মাতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাস্ক সঙ্গে রাখতেই হবে। সেক্ষেত্রে ডিসপোজেবেল মাস্ক থাকলে ভাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *