অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে ‘পারকিনসন’

অনলাইন ডেস্ক :

 

 

 

 

 

 

 

পারকিনসন রোগ এক প্রকারের নিউরো-ডিজেনারাটিভ বা স্নায়বিক রোগ বা স্নায়ু-অধঃপতনজনিত রোগ। রোগটি প্যারালাইসিস এজিট্যান্স বা শেকিং পালসি নামেও পরিচিত। এই রোগটি নিউরো-ডিজেনারাটিভ রোগের মধ্যে দ্বিতীয়।

 

 

 

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্লিপ ফাউন্ডেশন’-এর তথ্যমতে, স্বাভাবিকভাবে মানুষ যখন গভীর ঘুমে পৌঁছায় বা ‘আরইএম’ অবস্থায় যায়, তখন মানুষের শরীর কিছু সময়ের জন্যা ‘প্যারালাইজড’ বা অবশ হয়ে গেলেও মস্তিষ্ক সেই সময় সক্রিয় থাকে। যেমনটি মানুষ সজাগ অবস্থায় থাকে। তবে ‘আরবিডি’তে যারা ভোগেন, অনেক সময় তাদের শরীর অস্বাভাবিকভাবে ‘প্যারালাইজড’ হয়ে যেতে পারে। এটি হওয়ার কারণে ঘুমের মাঝে তারা স্বপ্নে যা কিছু দেখে সেটি তারা বাস্তবেও করতে থাকে।

 

 

 

 

 

চিকিৎসকেরা জানান, ৫০ বছরের বেশি বয়সের পুরুষদের মাঝে এ সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ ছাড়া এ রোগটি পুরুষদেরই বেশি হয়ে থাকে। এর উপসর্গ ও লক্ষণগুলো হল:

 

 

 

 

 

১. দূর্বলতা।

 

২. মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা।

 

৩. বিষাদগ্রস্ত।

 

৪. ভাবলেশহীণ অভিব্যক্তি এবং চোখের পাতায় কম কম্পন।

 

৫. পেশির অনমনীয়।

 

৬. ধীরগতিতে চলাফেরা।

 

৭. ভারসাম্য রক্ষায় অপারদর্শীতা।

 

৮. বিশ্রামের সময় মাথায় কিংবা হাতে মৃদু কম্পন অনুভব করা।

 

৯. বিভ্রান্তি এবং স্মৃতীশক্তির বিলোপ।

 

 

এছাড়াও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হলে হাঁটতে অসুবিধা, শরীর অবশ হয়ে যাওয়া, শরীর কাপা, শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা এবং কোনো কিছুর সমন্বয় করতে না পারার মতো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।

 

 

 

 

 

 

এ রোগটি মানুষের অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তবে এ রোগের পূর্বাভাস বুঝে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ রোগ নিয়ে এ গবেষণায় ডেনমার্কের আরহাস ইউনিভার্সিটি জানায়, ঘুমে থাকাবস্থায় ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরবিডি’ হচ্ছে এ রোগের একটি পূর্বাভাস।

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন, ‘যারা এই ‘আরবিডি’র শিকার হন, তাদের মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে ভিন্নতা দেখা যায়। যে কারণে মস্তিষ্কের কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না’। এতে পেশিগুলো অস্বাভাবিকভাবে অবশ হয়ে যায়। তাই এ লক্ষণগুলো দেখামাত্র অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *