Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

৫জির আওতায় আগামী ৫ বছরে ৪০ শতাংশ মানুষ

Fantasy island floating in the air with 5G network wireless systems and internet of things , Smart city and communication network concept .

অনলাইন ডেস্ক: সুইডেনের মোবাইল নেটওয়ার্ক ও টেলিকম যন্ত্রপাতি নির্মাতা এরিকসনের মতে, ২০২৪ সাল নাগাদ ৫জির সাবসক্রিপশন ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫০ কোটিতে দাঁড়াবে। ২০২৪ সাল নাগাদ ৫জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির আওতায় থাকবে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকা ও উত্তর–পূর্ব এশিয়া ৫জি গ্রহণে নেতৃত্ব দেবে।ইংরেজিতে টুজি, থ্রিজি, ৪জি বা ৫জিতে ব্যবহৃত ‘জি’ অর্থ জেনারেশন বা প্রজন্ম। ৫জি হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস বা তারহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি। গবেষকেদের মতে, শক্তিসাশ্রয়ী, দ্রুতগতির ও স্মার্ট হবে ৫জি। এতে নতুন তারহীন প্রযুক্তির পণ্য বাজারে পাওয়া যাবে। এতে আরও দ্রুতগতির স্মার্টফোন, স্মার্টবাড়িতে ব্যবহৃত পণ্য ও দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করা যাবে।এরিকসনের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের বড় নেটওয়ার্ক সেবাদাতারা এ বছরেই বা আগামী বছর থেকে ৫জি সেবা দিতে শুরু করবে। তবে বিশ্বজুড়ে ২০২০ সাল থেকে বড় নেটওয়ার্ক সেবাদাতারা এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে শুরু করবে।
এরিকসনের আধা বার্ষিক মোবিলিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউরোপে প্রথম বাণিজ্যিক ৫জি সাবসক্রিপশন ২০১৯ সালে শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বর্তমানে মোবাইল টেলিকম নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতিশিল্পের কঠিন সময় যাচ্ছে। ৪জি, টুজি ও থ্রিজি নেটওয়ার্ক যন্ত্রপাতির চাহিদা কমছে। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের ৫জি নেটওয়ার্কের চাহিদা শুরু হতে এখনো কয়েক বছর দেরি আছে।এরিকসনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছে, ওই সময় নাগাদ মোবাইল সাবসক্রিপশন দাঁড়াবে ৮৯০ কোটিতে। এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে মোবাইল সাবসক্রিপশন সংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়াবে।নতুন প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে আরও বেশি তথ্য স্থানান্তরে গতি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত ডিভাইসের ব্যবহার বাড়বে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে সর্বাধুনিক ৪জিএলটিই প্রযুক্তিকে ছাপিয়ে যেতে হবে ৫জিকে। ৫জির অর্থ যা–ই দাঁড়াক না কেন, ২০২০ সালের মধ্যেই ৫জি প্রযুক্তির উন্নয়ন সম্পন্ন করে ফেলতে হবে।৩জি ও ৪জির ব্যবহারের সময় যেভাবে ডেটা ব্যবহার বেড়েছে, ভবিষ্যতে কোন কোন ধরনের পণ্য বাজারে আসবে এবং তা ডেটা ব্যবহার বাড়াবে, এখনকার ওয়্যারলেস শিল্পের কর্ণধারেরা সেই বিষয়গুলোই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাঁদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র থেকে ইন্টারনেটের যে সংযোগ নেওয়া হবে, তার ব্যবস্থাপনা করা, দ্রুত সংযোগ–সুবিধার জন্য জরুরি সেবা যন্ত্রগুলো নির্ধারণ করা কিংবা ব্যান্ডউইথ–খেকো কম প্রয়োজনীয় বিনোদনসেবাগুলোর জন্য নেটওয়ার্ক সরবরাহ করা।
এরিকসনের কর্মকর্তারা বলেন, ‘৫জির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের ব্যবহার অভিজ্ঞতা পাব বলেই আমরা ধারণা করছি।’২০১২ সালের যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা ৫জি নিয়ে গবেষণা করার কথা জানিয়েছিলেন। গবেষকেরা বলেন, ৫জি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। মোবাইল যোগাযোগব্যবস্থা এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারের মধ্যে যে বাধা ছিল তা ইতিমধ্যে দূর হয়েছে। পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক–ব্যবস্থায় চলার পথে ইন্টারনেট–ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা হবে। আগামী দশকে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক–ব্যবস্থায় সাশ্রয়ী অবকাঠামো তৈরিতে কাজ করা হবে। ২০২০ সাল নাগাদ ৫জি প্রযুক্তি চলে আসবে।পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট চালুর জন্য যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Exit mobile version