ভারতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে ঘুষ

লিটন কুমার বিশ্বাস : বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের ওপারে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বঁনগা থানার হরিদাসপুর বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী যাত্রীদের নিকট থেকে ল্যাগেজ তল্লাশীর নামে যাত্রীদের জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে ঘুষ।কেহ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রেখে জেলে পাঠানোর ভয় দেখানো হচ্ছে বলে ভারত থেকে ফিরে আসা অনেকে জানিয়েছেন।

কথা হয় কুষ্টিয়া সদর থানার ইব্রাহিম ইসমাইল মোহনের সাথে, তিনি বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ভারত থেকে আসার সময় ভারতীয় কাষ্টম মোহনের পকেটে হাত দিয়ে ১৪,৫০০ টাকা পায়। তাকে সিজার লিষ্টে নাম লিখিয়ে টাকা নেবার পর সিজার লিষ্ট ছিড়ে ফেলে। পরে তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে থানায় সোপর্দ করার হুমকি দেয় এবং তাকে প্রায় ৪ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল।

ভারত থেকে ফিরে আসা বাবু দত্ত বলেন, বৈধ পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমস ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করে ভারতে প্রবেশ করার পর ব্যাগ তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে মানিব্যাগ নিয়ে ব্যাগে থাকা ১৭ হাজার টাকা দেখে এত টাকা নেয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন। পরে খুব অনুরোধের পর ৫ হাজার টাকা রেখে মানিব্যাগ ফেরত দেন।

কথা হয় বরিশাল গেীরনদী বাজারের ব্যবসায়ী সুশিল এর সাথে তিনি বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভারতে বেড়াতে যাবার কালে ভারতীয় কাস্টম পকেট চেক করে ৩২ হাজার টাকার মধ্য ৭ হাজার টাকা রেখে দেয়। প্রতিবাদ করলে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল। পিরোজপুর জেলার সেলিম হোসেন বলেন, চিকিৎসা জন্য ভারত গিয়ে ছিলাম ফেরার সময় ভারতীয় কাস্টম জোর করে ৩শ টাকা নিয়ে নিল তারা কোন কথায় শোনে না।

শায়লা খাতুন নামে একযাত্রী জানান, ভারত থেকে ফেরার সময় ৬ হাজার ভারতীয় রুপি ছিল সেটাতো নিল আবার বাংলা ১ হাজার টাকা দিতে হল। বেনাপোল আমদানী রপ্তানী কারক কামাল হোসেন বলেন, বেনাপোল দিয়ে কোলকাতা দূরত্ব কম হওয়াতে এ পথ দিয়ে ব্যবসায়ী, চিকিৎসা ও ভ্রমন করার জন্য সবাই যেতে চায় কিন্ত বর্তমানে ভারতীয় কাস্টম কর্তৃক যে ভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানী হচ্ছে সেটা খুব দূঃখ জনক।

ভারতীয় কাস্টম কর্তৃক বাংলাদেশী যাত্রী হয়রানীর ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোষ্ট আন্তজাতিক কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, ভারতীয় চেকপোষ্ট কাস্টমসে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানী হচ্ছে কেহ অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তাদেরকে আমরা জানাতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *