ফেসবুক ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব অনেকে, প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে এনে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে টাকা আদায়কারী প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বুলু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মূলহোতা নারীসহ তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার তাদের বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভদ্রদীঘি গ্রামের প্রবাসী সুজন প্রামানিকের স্ত্রী রিনা বেগম (৩৭), তার সঙ্গী একই উপজেলার কহুলী তালুকপুরের মিলন হোসেনের ছেলে লিটন হোসেন (২২) ও কহুলী গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে গোলাম রাব্বি (২০)।

 

 

 

 

 

 

 

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আবদুল মোত্তালেব (৩৬) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘শিপলু সাথী’ নামের একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে রিনা বেগমের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রিনা বেগমের নিমন্ত্রণে গতকাল বুধবার নন্দীগ্রামের ভদ্রদীঘি গ্রামে রিনার বাড়িতে আসেন মোত্তালেব। এ সময় মোত্তালেবের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে আরো চার যুবক এসে তার হাত-পা বেঁধে মারপিট করে এবং তাকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে রাখে রিনা গ্যাং। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিবারকে দেখানোর হুমকি দিলে মোত্তালেব তার স্বজনদের মাধ্যমে ১৭ হাজার ২০০ টাকা বিকাশ করেন। পরে একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

 

 

 

 

 

 

 

বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে মোত্তালেব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

 

 

 

 

 

 

 

নন্দীগ্রাম থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বামী সৌদি আরবে থাকায় রিনা বেগম তার সহযোগিদের নিয়ে প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। তিনি ফেসবুকে প্রথমে বন্ধু ও পরে প্রেমিক বানিয়ে সহজ-সরল মানুষদেরকে বাড়িতে ডেকে এনে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। বিবস্ত্র করে ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র।

 

 

 

 

 

 

 

তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে তিনজনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *