রাজবাড়ীর তিন পৌরসভায় লকডাউন ঘোষণা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজবাড়ীতে করোনা সংক্রমণের হার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংক্রমণ হার পর্যালোচনা করে রাজবাড়ী তিনটি পৌরসভায় লকডাউনের আওতায় আসছে। আগামী ২১ জুন (সোমবার) মধ্যরাত থেকে সাত দিনের জন্য রাজবাড়ী পৌরসভা, পাংশা পৌরসভা এবং গোয়ালন্দ পৌরসভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি।

 

 

 

 

 

 

 

রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সভায় এ ব্যাপারে সিধান্ত নেয়া হয়। সভায় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা.ইব্রাহিম টিটন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিপক কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড ইমদাদুল হক বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান শেখ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর উপ-পরিচালক মো. শরিফুর ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, পাংশা পৌরসভার মেয়র মো. ওয়াজেদ আলী মন্ডলসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন ও মাইকিং করে এ ঘোষণা জারি করা হবে বলে জানায় সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা।

 

 

 

 

 

 

সভাসূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ পৌরসভার করোনা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ, রাজবাড়ী পৌরসভায় ৩৬ শতাংশ এবং পাংশা পৌরসভায় ৪০ শতাংশ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। রাজবাড়ীতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পরার কারণে দ্রুত এ সিধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। লকডাউনে কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথবা খোলা থাকবে সে তথ্য প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর জানা যাবে বলে সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য জানান। তবে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়া বন্ধ করা এবং শতভাগ মাক্স ব্যবহার নিশ্চিত করণে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানা গেছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী বহন করে প্রয়োজনে মানুষ জীবিকার জন্য বাইরে বের হতে পারবেন বলে জানা গেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

লকডাউনে ঔষুধ, কাঁচামাল, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকারের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান এর আওতাবহির্ভূত থাকবে। তবে জরুরী প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে গেলে অব্যশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *