কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় দিনে সর্বাত্নক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

কুষ্টিয়ায় দ্বিতীয় দিনে সর্বাত্নক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় সর্বাত্নক কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (২২ জুন) কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও পৌর এলাকার চেকপোস্টে কঠোর ভাবে পুলিশি নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শহরের ব্যাস্ততম সড়ক গুলো এক প্রকার জনশূন্য হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে চেকপোস্টে ডিউটি পালনের জন্য কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী মহাসড়কের খোকসা থানাধীন পিয়ালডাঙ্গী সীমান্তে চেকপোস্ট,কুষ্টিয়া – চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাটিকাবাড়ী তাহাজ মোড়ে চেকপোস্ট, কুষ্টিয়া -ঝিনাইদহ মহাসড়কের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সামনে চেকপোস্ট, মিরপুর থানাধীন হালদা ক্যাম্পের অধীনে নান্দিয়া- পাইকপাড়া ফিডার রোডে চেকপোস্ট, মিরপুর থানাধীন মালিহাদ ক্যাম্পের অধীনে কুটিয়াডাঙ্গা হাট বোয়ালিয়া সড়কে চেকপোস্ট, ভেড়ামাড়া থানাধীন লালনশাহ সেতুর টোল প্লাজায় চেকপোস্ট,কুষ্টিয়া – মেহেরপুর সড়কের খলিসাকুপ্তি ব্রীজ চেকপোস্ট, দৌলতপুর সীমান্তে ধর্মদহ ব্রীজে চেকপোস্টে প্রতিদিন দুই শিফটে প্রতিটি চেকপোস্টে একজন এসআই,একজন এ এস আই ও তিনজন কনস্টেবল সহ মোট পাঁচজন পুলিশ সদস্য চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছে।একই সাথে কুষ্টিয়া জেলার পৌর এলাকাগুলোর বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকায় আভ্যন্তরীণ সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করেনি।
কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও পৌর এলাকার চেকপোস্ট পরিদর্শন কালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন,মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ।মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে মাস্ক পরুন,অন্যকে মাস্ক ব্যাবহারে উদ্ধুদ্ধ করুন। করোনা মোকাবেলায় আতঙ্কিত না হয়ে সবাই সচেতন হোন। অকারনে অযথা বাহিরে ঘোরাফিরা করা থেকে বিরত থাকুন।পরিাবরের সদস্যদের সচেতন করে তুলুন। সর্বাত্নক কঠোর লকডাউন কার্যকরে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।সুতরা কেউ অকারনে বাহিরে ঘোরাফিরা করলে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তিদেয়া হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন,লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *