বেনাপোলে কিডনি পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

 

 

কিডনি ট্রান্সফারের জন্য বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে আনা এক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। একই সঙ্গে পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে তারা।

 

 

 

 

 

 

 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। এ সময় আর্মড পুলিশের সদস্যরা বিজিবিকে সহযোগিতা করে।

 

 

 

 

 

 

কিডনি পাচারের শিকার ভুক্তভোগী পাসপোর্টযাত্রী সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার ঢুকুরিয়াবেড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী মন্ডলের ছেলে মোহাম্মাদ ইউনুছ আলী। আটক পাচারকারী গাজিপুর জেলার আনিছুর রহমান।

 

 

 

 

 

 

কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইউনুছ নামে ওই যাত্রীকে আনিছুর ভারতে পাচার করছিল কিডনি ট্রান্সফারের জন্য। ইউনুছ আলী বলেন, আমাকে এক বছরে তিন লাখ ৭০ হাজার টাকার কাজের চুক্তিতে ভারত পাঠাবে বলে আনিছুরের সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর আমি জানতে পারি যে, আমার শরীর থেকে কিডনি পাচার করা হবে। ঢাকায় আমি গত বুধবার রাতে ভারত যেতে রাজি না হলে আমাকে ঢাকার একটি আবাসিক ভবনে মাথায় পিস্তল ঠেকানো হয়।  বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বিমানে করে যশোর আনা হয় আমাকে। যশোর থেকে প্রাইভেট কারে করে বেনাপোল নিয়ে আসলে আমি বিজিবিকে দেখে এগিয়ে গিয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বলি।

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি আরো জানান, ভারতে আমাকে যেখানে পাঠাবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় লোকেরা বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল চেকপোস্টে অপেক্ষা করছে, আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

 

 

 

 

 

 

ইউনুসের পিতা ইদ্রিস আলীকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তার ছেলে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস শিল্প কারখানায় চাকরি করে। তাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

 

 

 

 

 

 

পাচারকারী আনিছুর রহমান জানান, তার সঙ্গে তার কম্পানির লোকের কিডনি দেওয়া বাবদ চুক্তি হয় ওই টাকায়। সেই মোতাবেক তাকে বেনাপোল এগিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছেন তিনি। তাদের ঢাকা মিরপুর ২নম্বর অফিস। তবে তিনি অফিসের নাম বলেননি।

 

 

 

 

 

 

বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আশরাফ আলী বলেন, তাদের দুজনকে ক্যাম্পে আনা হয়েছে। তদন্ত চলছে সিও (ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার) সাহেবের নির্দেশে। সে কিডনি পাচারের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তাকে মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *