আবুল বারকাতের তথ্য বিকৃতের অভিযোগ প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে

ন্যাশনাল ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে স্বাক্ষাতে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতকে রেফারেন্স টেনে যেসব তথ্য দিয়েছেন তা বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবুল বারকাত।  

তিনি বলেন, আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন। (উৎসঃ আবুল বারাকাত, ২০১৬ বাংলাদেশ কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি, পৃ: ৭১) অর্থাৎ আমি কোথাও ‘৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌধ-খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন’- এ কথা বলিনি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না যে, আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর-১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।এছাড়া তিনি আরো বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র।

এদিকে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী এখন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ১ কোটি ৮০ লাখ। তার মানে বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছেন।’

আবুল বারকাতকে রেফারেন্স টেনে প্রিয়া বলেছিলেন, ‘আমি এক সময় তার (আবুল বারকাত) সঙ্গে কাজ করেছি। আবুল বারকাত বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই গবেষণা থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *