Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ায় সপ্তম দিনেও সর্বাত্নক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের কড়া নজরদারি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

 

 

 

 

 

কুষ্টিয়ায় সপ্তম দিনেও সর্বাত্নক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের কড়া নজরদারি

 

 

 

 

 

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় সর্বাত্নক লকডাউনের সপ্তম দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের কঠোর নজরদারীর কারনে শহরের ব্যাস্ততম সড়ক গুলোতে দেখাগেছে শুনশান নিরবতা।
রবিবার (২৭জুন) কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও পৌর এলাকার চেকপোস্টে কঠোর ভাবে পুলিশি নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।সরজমিনে দেখা গেছে,কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে চেকপোস্টে ডিউটি পালনের জন্য কড়া পুলিশি নিরাপত্তা পরিলক্ষিত হয়েছে। জেলার পৌর এলাকাগুলোর বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকায় আভ্যন্তরীণ সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করেনি।পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পরিদর্শনের জন্য প্রায় প্রতিটি চেকপোস্টে পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলম।
কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও পৌর এলাকার চেকপোস্ট পরিদর্শন কালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন,দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরার বিকল্প নেই।সাবান দিয়ে বার বার হাত ধৌত করুন,স্বাস্ব্যবিধি মেনে চলুন।সবাই সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান।অকারনে বাইরে ঘোরাফিরা না করে সবাই নিজ নিজ ঘড়ে অবস্থান করে মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যান।
এ সময় তিনি আরও বলেন,করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।তাহলেই আমরা করোনাকে কমিয়ে সহনশীল মাত্রায় রেখে আমাদের জীবন যাত্রাকে পরিচালিত করতে পারবো।আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে আমরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সঠিক ভাবে মাস্ক পরিধান করে মহামারি করোনা প্রতিরোধে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।
লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ওসি কুষ্টিয়া মডেল থানা, ওসি কুমারখালী, ওসি খোকসা, ওসি ভেড়ামারা,ওসি দৌলতপুর, ওসি ইবি, ওসি মিরপুর, ওসি ডিবি, টি আই (এডমিন) কুষ্টিয়াসহ জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল র্যাংকের অফিসার ও ফোর্স।
এদিকে প্রাণঘাতী নোবেল করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় সরকার ২৭ জুন মধ্যরাত থেকে ১ জুলাই সকাল ৬ টা পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করেছে।এ সময় সকল ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প- কারখানা,শপিং মল,দোকান,রেষ্টুরেন্ট ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে।তবে কাঁচামাল,নিত্যপ্রয়োজনীয় (মুদি) পন্যর দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।সকল পর্যটন কেন্দ্র,রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃ জেলা ও দুর পাল্লার সকল ধরনের গনপরিবহন বন্ধ থাকবে।এক্ষেত্রে থ্রি হুইলার,ইজিবাইক সহ সকল যান্ত্রিক যানবাহন বিধি নিষেধ আরোপকালীন বন্ধ থাকবে।সকল ধরনের সাপ্তাহিক গরুর হাট বন্ধ থাকবে।অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যাতীত কোন ভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবেনা।জরুরী প্রয়োজনে চলাচল কারী সকলকে আবশ্যিক ভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।সরকারি-বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠান সমুহে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা,কর্মচারী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যাবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।
Exit mobile version