বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হবেন না : আইজিপি

অনলাইন ডেস্ক :

 

 

 

 

 

 

লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ মোকাবিলা করছি এবং করোনার আক্রমণটা এখন শীর্ষে আছে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে কেউ দয়া করে বের হবেন না।’

 

 

 

 

 

 

 

সোমবার (২৮ জুন) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মগবাজার বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

 

 

 

 

 

আইজিপি বলেন, কেউ যদি জরুরি প্রয়োজনে বের হন তাহলে অবশ্যই সীমিত সময়ের জন্য বের হবেন এবং সবাই অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

 

 

 

 

 

 

তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনার যে অবস্থা হয়েছে তা আমাদের দেশে দেখতে চাই না। সেখানকার অভিজ্ঞতা আমরা সবাই জানি। সে কারণে দেশবাসীকে অনুরোধ করব সবাই ঘরে থাকবেন। বিনা প্রয়োজনে বেরোবেন না। বের হলে মাস্ক পরবেন এবং মাঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তাদেরকে সহয়তা করবেন।

 

 

 

 

 

 

এদিকে, রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা বোম্ব এক্সপ্লোসন ইউনিট নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

 

 

 

 

 

 

আইজিপি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় একটি মারাত্মক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানি হয়েছে। পথযাত্রী, দোকানের কাস্টমার কর্মচারী ও শিশুসহ ৬ জনকে হারিয়েছি। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এবছর যদি খেয়াল করেন, অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জে মসজিদে, শনিরআখড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি করেছে। তবে আমাদের ফায়ার এক্সপ্লোরেশন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস মিলে পুলিশের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিটি করে তদন্ত করবো। আমরা এক সঙ্গে কাজ করবো। আমরা চাই এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে।

 

 

 

 

 

সোমবার বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে আইজিপি মগবাজারে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *