কুষ্টিয়া প্রতিনিধি॥ ২৫জুলাই,২০১৯্॥ কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার গৃহপরিচারিকা রেখা খাতুন হত্যা মামলায় গৃহকর্তাসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মইশাডাঙ্গা গ্রামের মৃত: নজের আলীর পূত্র মো: হাসেম সরদার(৪৫), শিতলীপাড়া গ্রামের মৃত: লস্কর মালিথার পূত্রদ্বয় গৃহকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে মুফাজ(৭০) এবং আকরামুল হক ওরফে আকেম(৪০)।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সন্ধা সাড়ে ৬টায় নিহত রেখা খাতুনের প্রতিবেশী আসামী হাসেম সরদার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসামী গৃহকর্তা মোফাজ্জেল হোসেনের হাতে তুলে দিয়ে আসেন। পরদিন ১৭ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় নিকটস্থ কলা বাগানের পাশে সরিষা ক্ষেতে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। এঘটনায় নিহতের পিতা রুস্তম আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দৌলপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি নানা কারণে তদন্তে বিলম্ব হয়। অবশেষে সিআইডি মামটির তদন্ত শেষে রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামীদের বিরুদ্ধে দ:বি: ৩০২/৩৪ অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ১৯মে আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সকরারী কৌশুলী এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, আসামী মোফাজ্জেল হোসেনের বাড়িতে নিহত রেখা খাতুন কাজ করতো। মোফাজ্জেলের মেয়ের সাথে গ্রামের একটি ছেলের অবৈধ সম্পর্ক চর্চা রেখা খাতুন ফেলায় তাকে প্রতিবেশী হাসেমের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে রাতের আঁধারে হত্যা করে সরিষা ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখে। আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত এমন অভিযোগ দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী করে বিজ্ঞ আদালতের কাছে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় এই রায় ঘোষনা করেন।