Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, লন্ডনে হলো মারামারি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ’

অনলাইন ডেস্ক :

 

আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিশ্চিত করতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একদফা মারামারি হয়ে যায়। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা একে অন্যদের মারধর করে রক্তাক্ত করে। ১১ তারিখ ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনালের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা বিজয় মিছিল বের করলেও পুলিশ তাড়া দিয়ে তদের ঘরে ফেরায়। শুধু এটুকুই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বেশি কিছু হয়নি।

 

 

তবে ১১ জুলাই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের শহর লন্ডনে। ইউরোর ফাইনালে একই দিনে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি আর ইংল্যান্ড। ম্যাচের আগে বিনা টিকিটে মাঠে ঢুকতে না পেরে তাণ্ডব চালায় ইংলিশ সমর্থকেরা। রাস্তায় বাসে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের মারধোর- সবই তারা করেছে! মাঠে যখন ম্যাচ চলছিল, মাঠের বাইরে চলছিল ইংলিশ সমর্থকদের তাণ্ডব।

ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ সময়ে ১-১ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ইতালি ৩-২ গোলে জিতে যায়। এরপর শুরু হয় ইংলিশ সমর্থকদের আরেক নোংরামি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা এই হারের জন্য কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের দায়ী করে। টাইব্রেকার শ্যুট আউটে গোল মিস করায় কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর একেবারে হামলে পড়ে ইংলিশ বর্ণবিদ্বেষী সমর্থকেরা! ইংলিশ সমর্থকদের দুর্নামের কথা বিশ্বব্যাপী সবার জানা। তবে এবার যেন তারা সব নোংরামি ছাড়িয়ে গেল! 

গত দেড় বছর ধরে মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশের সবাই জানে যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত মারামারি হয়। তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশে অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত-কুসংস্কারচ্ছন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সংঘাত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আগেও এমনই হতো। ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বিষয়টা বেশি আলোচিত হয়। কিন্তু গোটা বিশ্বকে ‘সভ্যতা’ শেখানো ইংল্যান্ডের জনগনের একটা বড় অংশ যে এমন ন্যাক্কারজনক কাণ্ড ঘটাতে পারে; তা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।

 

Exit mobile version