

নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সময়ে আমরা কোনো না কোনো কাজে সারাদিনই ব্যস্ত। আবার কোনা কোনো সময়ে ঠিক মতো খাবার খাওয়াও হয় না, কখনও বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলা হয়। কম ঘুম আর বেশি কাজের এই দুনিয়ায় এ ভাবেই দিন কাটে অধিকাংশ মানুষের। অনিয়মিত জীবনের সঙ্গে শখের বা অভ্যাসের মদ্যপান মিশিয়ে তাকে আরও জটিল করে তোলেন অনেকেই। সঙ্গে অবশ্যই চলে ওষুধ খেয়ে চলার প্রবণতা। তবে অনিয়ম সত্ত্বেও লিভার ভাল রাখার মতো ওষুধ চিকিৎসাশাস্ত্রে নেই। আসলে লিভার ভাল থাকে নিয়মে, ওষুধে নয়।
লিভার এমন একটি অঙ্গ যা খারাপের পথে এগোতে শুরু করলেও নিয়ম মেনে চললে আবার তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তাই জেনে নিন কিভাবে ভালো রাখবেন লিভারকে-
শরীরচর্চা:
প্রতিদিন একটানা আধ ঘণ্টা হাঁটুন বা আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। মেদবাহুল্য না রুখতে পারলে লিভার ভাল রাখা অসম্ভব।
ঘরের বাইরে খাওয়া বন্ধ:
ফ্যাটি লিভার রুখতে প্রায়ই বাইরে খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এর সঙ্গেই যুক্ত কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের নানাবিধ সমস্যা, যাকে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’ বলে। তাই ঘরের বাইরে খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
লো ক্যালোরি ডায়েটে ভরসা রাখুন:
ফ্যাটি লিভার ঠেকাতে লো ক্যালোরি ডায়েটে ভরসা রাখুন। ভাজা-তেলমশলা-মিষ্টি-ফাস্টফুড এ সব বাদ দিতে পারলেই ভাল। একান্তই দু’এক দিন খেতে চাইলে বাড়িতে খান। যতটা পারেন নামমাত্র তেল ব্যবহার করে। কিছু কিছু ভাজা ডুবো তেল ছাড়া হয় না, সে সব এড়িয়ে চলুন। খুব ইচ্ছে করলে মাসে এক বার খেতে পারেন। আজকাল তেলেও নানা ক্ষতিকর উপাদান থাকে। সব শরীরে সকল প্রকার তেল ভাল নয়। তাই তেল বাছার জন্য ভরসা রাখুন পুষ্টিবিদের উপর।
মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:
লিভার খারাপ হয়ে যাওয়া মানুষের মধ্যে অধিকাংশই মদ্যপায়ী। মদ্যপানের পরিমাণও এক এক জনের শরীরের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। সিরোসিস অব লিভার ও লিভারের অন্যান্য রোগ ঠেকাতে মদ্যপান ছাড়তেই হবে। তবে মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকাই লিভারকে সুস্থ রাখার সেরা উপায়।
খাবর পানির দিকে নজর দিন:
লিভারকে ভালো রাখতে শুধু খাবার নয়, পানির দিকেও নজর দিন। হেপাটাইটিসের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পানি খুব কার্যকর ভূমিকা নেয়। হেপাটাইটিস বি ঠেকাতে বি ভাইরাসের টিকা নিন। আর হেপাটাইটিস সি ঠেকাতে রক্তের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। দরকারে এমন কোনো ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, যারা হেপাটাইটিস সি স্ক্রিনিং করেন। ইঞ্জেকশন নিলে সিরিঞ্জ যাতে নতুন ও জীবাণুমুক্ত থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন।
ওষুধের ক্ষেত্রে সচেতনতা:
ওষুধের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন। এমন কোনো ওষুধ খাবেন না, যা চিকিৎসক পরামর্শ দেননি। লিভারের ওষুধের ক্ষেত্রেও একই কথা মেনে চলুন।