কুষ্টিয়ায় প্রেমিকাকে নৃশংস হত্যার গা শিহরানো বর্ণনা দিল ১৭ বছরের কিশোর

প্রেমিকা স্কুলছাত্রী বারবার বিয়ে করার চাপ সৃষ্টি করে। তবে রাজি না প্রেমিক কিশোরের পরিবার। তাই রাতের অন্ধকারে কৌশলে ডেকে ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। সেখানে ছুরি দিয়ে পেটে ও গলায় আঘাত করে হত্যা করে। তবে মৃত্যু নিশ্চিত করতে সকল পন্থা অবলম্বন করে ওই কিশোর।

 

বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ বর্ণনা দেয় গ্রেপ্তার কিশোর। দুপুরে কুষ্টিয়া নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফিংয় করে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

 

এর আগে, বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক সড়কের মিরপুর পৌরসভার ভাঙাবটতলা এলাকায় ভুট্টাখেত থেকে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি মিরপুর পৌর এলাকায়। এ ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার প্রেমিক এক কিশোরকে (১৭) গ্রেপ্তারকৃত করে পুলিশ। সে পৌরসভার কুরিপোল গ্রামের বাসিন্দা এবং আমলা সরকারি কলেজের ছাত্র।

 

পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আপন হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

 

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানান, নৃশংসভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার শরীর পোড়ানোও হয়েছে। গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল। কিশোরীকে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে। কিছু বিষয় লক্ষ করা গেছে। সেটা নিয়ে আরো আলোচনা করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *