শার্শায় এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় লাবনী (২১) নামে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পাষান্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার(৩১ জুলাই) সকালে উপজেলার বাগআঁচড়া(সাতমাইল)হাজি পাড়ায় এ যঘন্য ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে,গত পাঁচ বছর আগে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিম নগর ইউনিয়নের চাকলা কাঁটালতলা গ্রামের সবুজ আলী গাজীর মেয়ে লাবীর বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার শফিকুল ইসলাম(শফি)র ছেলে ইমামুল ইসলামের সাথে।তাদের ঘর আলো করে আসে একটি পুত্র সন্তান।প্রথমে সংসার জীবন ভালো চললে ও বাঁধ সাধে স্বামীর পরকীয়া প্রেম।গতকাল রাতে স্বামীর ফোন দেখতে গিয়ে স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম আলাপের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনতে পাই লাবনী।আর এটায় হয় তার জীবনের কাল।স্বামীর কাছে পরকীয়ার বিষয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী লাবনীকে পেটাতে পেটাতে হত্যা করে তার পাষান্ড স্বামী। পরে সেটি আত্মহত্যা বলে রটাতে লাবনীর মরদেহ হাসপাতালে ও নিয়ে যাই স্বামী।এবং এটা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।পুলিশ আসার আগে ইমামুলের পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তার কোনো প্রতাক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি।
নিহত লাবনীর ভাই সোহেল জানান,আমি ঢাকায় থাকি আমার দুলাভাই প্রায় আমার বোনকে মারধোর করতো। তাকে বলতো বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আয়।আমরা অনেক বার আমার বোনের সুখের জন্য তাকে টাকা দিয়েছি।কিন্তুু সে মদ গাঁজা আর পরকীয়া প্রেমিকার পেছনে সেই টাকা খবরচ করে ফেলতো।এর আগে কয়েকবার আমার বোনকে মারধোর করে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। সাতমাইল এলাকার স্থানীয় মোবারক সরদারের ছেলে এরশাদ আলী চৌধুরি মিমাংশা করে দিয়েছিলো বলে আমার বোনকে আবার পাঠিয়ে ছিলাম শশুরবাড়ীতে।গতকাল আমার বোন তার  পরকীয়া ধরে ফেলায় বোনটাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে আমার পাষান্ড দুলাভাই। আমি আমার বেন হত্যার বিচার চাই।
নিহত লাবনীর মা জানান,আমার মেয়ে অনেক চেষ্টা করেছে তার স্বামীকে নিজের করে নিতে কিন্তুু পারলো না। আমার জামাই শুধু শশুরবাড়ির টাকার পাগল ছিলো। টাকা আনলে কিছুদিন আমার মেয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করতো। পরে আবার অত্যাচার শুরু করতো।আমার মেয়ে সে অত্যাচার সহ্য করতো তার ছেলেটার কথা ভেবে কিন্তু আমার জামাই স্থানীয় একটি মেয়ের পরকীয়ার আসক্ত হওয়ার পর থেকে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়।আর আজ আমার মেয়েটাকে মেরেই ফেললো।আমি প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। আমি ফাঁসি চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসি বদরুল আলম খান জানান,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।লাশের গলার একটি দাগ দেখতে পেয়েছি।তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে তিনি জানান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *