কুষ্টিয়ায় লকডাউনের ৩৩তম দিনেও মটর শোভাযাত্রা ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনা সচেতনতা অব্যাহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ায় পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলমের নের্তৃত্বে ঈদ-উল-আযহা’র পরে ৯ম দিনের লকডাউন এবং কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউনের ৩৩তম দিনে সিনিয়র অফিসারবৃন্দ, ডিবি, ট্রাফিক পুলিশসহ সকল র্যাংকের অফিসার – ফোর্সের সমন্বয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
মটর শোভাযাত্রাটি মজমপুর হতে শুরু হয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মটর শোভাযাত্রাটি, মজমপুর, চৌড়হাস, মোল্লাতেঘোরিয়া, হাউজিংয়ের প্রত্যেকটা গলি প্রদক্ষিণ, কুমারখালী থানা এলাকা এবং রেল স্টেশনসহ আশপাশ এলাকা, নিশানমোড় কাটাই খানা মোড়, সরকারি কলেজ রোড, হাসপাতাল রোড, ট্রাফিক মোড়, কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে, রেইন উইক মোড়, ছয় রাস্তা, বক চত্বর, কুষ্টিয়া পৌরসভার সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইন্সে গিয়ে শেষ হয় এবং পথিমধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ি থেকে নেমে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়। এ সময় সাধারণ লোকদের সচেতন করাসহ বিনা কারণে বাইরে ঘুরাঘুরি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন কুষ্টিয়া জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, পুলিশের চেকপোস্ট, টহল, মাইকিং, নজরদারি ও সচেতনতামূলক কর্ম তৎপরতা অব্যাহত আছে এবং বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন প্রতিপালন করা হচ্ছে। বিট পুলিশিং কার্যকর করার ফলে জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ জনগনকে বেশী মাত্রায় অংশ গ্রহন করাতে পারছে।
শনিবার (৩১জুলাই) জেলা পুলিশ কুষ্টিয়া সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রতিদিন ৭ থানার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বিট অফিসার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউনের ৩৩তম দিন কার্যকর করে জনগণকে ঘরে রাখার ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল মহোদয় বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক লোকের মাঝে নির্ভেজাল পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে দেশে ৬৯১২টি বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন করছেন এবং তারই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলায় ৮৫টি বিট পুলিশিং কার্যালয় স্থাপন করে প্রত্যেকটি কার্যালয়ের জন্য ১ জন এসআই, ১ জন এএসআই, ২ জন কনস্টেবল কর্মরত আছে। করোনা মহামারী কালে দেশের সকল থানা, পুলিশ ক্যাম্প ও ফাঁড়ির পাশাপাশি ৬৯১২টি বিট পুলিশিংকে কাজে লাগাতে পারলে আইন শৃঙ্খলার র্যাডিক্যাল উন্নয়ন হবে এবং লকডাউন প্রতিপালনসহ দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
কুষ্টিয়ায় লকডাউনের ৩৩তম দিনেও সরেজমিনে উপস্থিত থেকে কুষ্টিয়ায় লকডাউন প্রতিপালনে জনগণকে বাধ্য করতে মুক্ষ্য ভুমিকা পালন করেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেড়ামারা সার্কেল মোঃ ইয়াছির আরাফাত, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, ওসি, কুষ্টিয়া মডেল থানা, ওসি কুমারখালী, ওসি খোকসা, ওসি ভেড়ামারা,ওসি দৌলতপুর, ওসি ইবি, ওসি মিরপুর, ওসি ডিবি, টি আই ২, জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল বিট অফিসার ও ফোর্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *