বেনাপোল প্রতিনিধি :
ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্সের সবকটি দেশে এসে পৌঁছেছে। আগেই এসেছিল ১০০টি, অবশিষ্ট ৯টি অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে পঞ্চম চালানের মাধ্যমে উপহারের সবকটি অ্যাম্বুলেন্স দেশে এলো।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৪র্থ চালানে ২৯টি, ২৬ আগস্ট তৃতীয় চালানে ৪০টি, ০৭ আগস্ট দ্বিতীয় চালানে ৩০টি ও ২১ মার্চ প্রথম চালানে ১টি অ্যাম্বুলেন্স আসে দেশে। এ নিয়ে পঞ্চম চালানের মাধ্যমে মোট ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে এসে পৌঁছেছে।
অ্যাম্বুলেন্স আমদানিকারকের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিকারক ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার। বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জেড আর করপোরেশন।
আজ বুধবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকার উদ্দেশে নেওয়া হবে। পরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তারা সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে উপহারের অ্যাম্বুলেন্সগুলো তুলে দেবেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পাশাপাশি রয়েছে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক্য। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন দুর্যোগকালীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। বন্ধুত্বের জানান দিতে বাংলাদেশও ক্ষুদ্র রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের পাশে থেকেছে সাধ্যমত। ভারতের রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ। ভ্রমণ আর চিকিৎসাসেবায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। ভারতে কোনো দুর্যোগ হলে সহজে তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে তেমনি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি হলে তার ছোঁয়া লাগে ভারতে। চলমান করোনায় যেমন বাণিজ্য খাতে তেমনি ভ্রমণ খাতে ধস নামে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলতি বছরে ২৬ ও ২৭ মার্চ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। এসময় দেশে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন আর চলমান করোনা পরিস্থিতি যৌথ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম বলেন, বন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে উপহারের অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ঢাকা নেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। পঞ্চম চালানের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সবকটি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে প্রবেশ করলো।