Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্রীকে ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা ,থানায় অভিযোগ দায়ের

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের এক ছাত্রীকে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের পাশে কোর্ট ষ্ট্রেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঐ কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে তার সহপাঠীদেরও বেধড়ক মারপিট করে বখাটেরা। ভুক্তভোগি ঐ ছাত্রীর নাম ফাতেমা খাতুন তুলি। সে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে বলে জানা গেছে। সে কুষ্টিয়া শহরতলীর জিয়ারখী এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের পাশে রেল ক্রসিং এলাকায় একটি মেয়েকে কয়েকজন বখাটে যুবক জোরপূর্বক তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটি না যেতে চাইলে তারা চলন্ত ট্রেনের নিচে মেয়েটিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এক যুবক মেয়েটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বখাটেরা তাকেও মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগি ঐ কলেজ ছাত্রী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও সে কলেজ শেষ করে সহপাঠীদের সাথে কলেজ থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের পাশের গলি দিয়ে কোর্টষ্ট্রেশন এলাকায় যাওয়ার সময় ট্রেন চলে আসে। ট্রেন চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময় কয়েকজন অপরিচিত লোকজন এসে তার হাত ধরে টেনে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে নিয়ে যেতে ব্যার্থ হলে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যাচেষ্টা করা হয় বলেও জানায় ঐ কলেজছাত্রী। এ সময় তার সহপাঠীরা তাকে রক্ষা করতে আসলে সুরুজ নামে তার এক বন্ধুকেও মারপিট করে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে বখাটেরা পিছু হটে।

ঐ কলেজছাত্রী জানান, ২০১৭ সালে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার মেজবার শেখের ছেলে মোঃ জনির সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জনি মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। তাছাড়া সে নেশাগ্রস্থ। ভবিষতের কথা চিন্তা করে তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে আমি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা শুরু করি। কলেজে যাওয়া আসার সময় জনিসহ তার বখাটে বন্ধুরা রাস্তায় আমাকে অশ্লীল কথাবার্তা এবং নানাভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। গতকালও জনি এবং তার বন্ধুরা আমাকে তুলে নিয়ে যেতে ব্যার্থ হয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগি ঐ কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় জনিসহ অজ্ঞাত৩/৪ জনের নামে একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

Exit mobile version