নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া :
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। কুষ্টিয়ায় এ বছর ২৫২টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলায় এ বছর ২৫২ টি পূজা মন্ডপ তৈরী করা হচ্ছে, এর মধ্যে কুষ্টিয়া মডেল থানা এলাকায় ৫৫টি, কুমারখালী থানা এলাকায় ৫৯টি, খোকসা থানা এলাকায় ৬৩টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা এলাকায় ২৭টি, মিরপুর থানা এলাকায় ২৩টি, ভেড়ামারা থানা এলাকায় ৯টি ও দৌলতপুর থানা এলাকায় ১৬টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
সোমবার সকালে প্রতিটি মন্দিরে ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়েছে। ঢাকের বাদ্য, কাঁসর আর ঘণ্টা ধ্বনী ও ধুপধুনার গন্ধে প্রতিটি মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ ও অধিবাসের পর আসনে প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে দূর্গা প্রতিমার আরাধনা। পূজা, আরতী, অঞ্জলী ও ভোগ রাগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের পূজার সমাপ্তি ঘটবে।
১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দেবীর বোধন পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১৪ অক্টোবর মহানবমী, ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার সমাপ্তি ঘটবে।
দেবী আসছেন ঘোটকে ফল ছত্রভঙ্গ আর যাবেন দোলায় ফল মড়ক। তাই ভক্তরা মায়ের চরণে অঞ্জলী দিয়ে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করবেন যাতে সকল অমঙ্গল দূর হয়ে তার নিজের, পরিবারের ও দেশের সকলের মঙ্গল স্থাপিত হয়।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূজা উদযাপন করুন। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে মন্দির এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বিসর্জন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।