অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে যেসব নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা মানতে হবে :
১. বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হবে।
২. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের।
৩. প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
৪. সিলেবাস: যে সব অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত) দেওয়া হয়েছে সে সব অধ্যায় এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে যে সব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস।
৫. বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস: ক. বাংলা (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে- ৫০ (লিখিত ৩৫+এমসিকিউ ১৫)।
খ. ইংরেজি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে- ৫০ (প্রথম পত্র ৩০+দ্বিতীয় পত্র ২০)।
গ. সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে- ৫০ (লিখিত ৩৫+এমসিকিউ ১৫)।
ঘ. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে।
ঙ. বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যোগ করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের (৫০+৪০+১০) ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ প্রতিবেদন দিতে হবে।
৬. ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
৭. অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।