Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ার গো খামারিদের মাঝেও ডেঙ্গু আতঙ্ক

লিটন কুমার বিশ্বাস : এমন এক সময় এবার কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন সারা দেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। যারা ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহর গুলোতে গরু বিক্রির জন্য যেতে চান তারা চিন্তায় পড়েছেন। এ কারনে এবার অনেকেই ঢাকায় ও চট্টগ্রামের বাজারে গরু নিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলায় গরু ও ছাগল মিলিয়ে এবার ১ লাখ ৩৩ হাজার পশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বড় একটি অংশ চলে যায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে। প্রতিদিন ট্রাকে করে স্থাণীয়রা খামারিরা এসব গরু নিয়ে যান। এক ট্রাকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি গরু নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ থেকে ১০ জন খামারি একসাথে ট্রাক ভাড়া করে বাইরে যান। ইতিমধ্যে গরু যাওয়া শুরু হয়েছে।


কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামের খামারি.সেলিম উদ্দিনের খামাওে ১০৬টি গরু রয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত বছরও ঢাকায় গরু নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে এবার গরু নিয়ে যেতে ভয় লাগছে। ঢাকায় যেভাবে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে কি করব বুঝতে পারছিনা।’ একই উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নের প্রান্তিক গরু খামারি আমিরুল ইসলাম বলেন,‘ লাভের জন্য আমরা ঢাকায় গরু নিয়ে যায়। এবার যেভাবে ডেঙ্গুর খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে ভয় ধরে গেছে। তাই এবার লাভ কম হলেও স্থানীয় বাজারে গরু বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছি।


এদিকে প্রতিদিনই জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে এসে ও ফোনে কর্মকর্তাদের সাথে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করছে খামারিরা। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকেও খামারিদের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়টি নিয়ে খামারিদের মাঝে কিছুটা ভীতি রয়েছে। তিনি বলেন, জেলার খামারিদের বেশির ভাগই অশিক্ষিত। তারা বিষয়টি নিয়ে ভাল ভাবে জানে না। তাই আমরা কর্মিদের মাধ্যমে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।’


এদিকে, ঢাকায় গরু নিয়ে যাওয়া খামারিরা যাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত না এবং তারা যাতে সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারেন বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন বলেন, খামারিরা যাতে ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয় সেজন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হচেছ।

Exit mobile version