অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্য ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন এবং করোনা পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে মন্ত্রিসভা। এটা তাদের জন্য যারা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রত্যাখ্যান করছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা গেছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বুস্টার ড্রোজ গ্রহণ প্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এ মাসের শুরুতে আপডেট করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকার ‘আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শংসাপত্রের জন্য বুস্টারগুলোর প্রভাব এবং প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করছে’ এবং ‘ভ্রমণের জন্য ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) কভিড পাসে বুস্টার টিকা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কি-না এবং কিভাবে তা দেখছে’। একটি সরকারি সূত্র রবিবার বলেছে, ‘এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে না, তবে কার্যকর হবে- এটা নিশ্চিত।’
পদক্ষেপটি ‘সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত’র সংজ্ঞাকে দুই থেকে তিন ডোজে পরিবর্তন করবে।
এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। তবে ৩০ শতাংশ যাঁদের বয়স ৮০ বছরের বেশি এবং ৪০ শতাংশ যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি এখনো বুস্টার ডোজ পাননি।
তবে ভ্রমণকারীদের পরীক্ষা করে যদি কভিড নেগেটিভও পাওয়া যায় তবুও তাঁদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে কর্মকর্তারা বিভক্ত এবং তারা একটি অন্তবর্তীকালীল গ্রেস পিরিয়ড নিয়ে আলোচনা করছে।
আগামী সপ্তাহে ইংল্যান্ডে আরো ৩০ লাখ লোককে করোনভাইরাস বুস্টার ডোস নিতে বলা হয়েছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এবং যারা কভিড-১৯-এর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তারা তাদের দ্বিতীয় ডোজের ছয় মাস পর একটি বুস্টার প্রাপ্তির যোগ্য হবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, অল্পবয়সী আত্মীয়দের উচিত যোগ্য পিতা-মাতা এবং দাদা-দাদিদের একটি বুস্টার ডোজ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।
সূত্র : ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড