করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ভয়ে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক :

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া এবং নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

 

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোছুল বলেছেন, এখনো করোনার উদ্বেগজনক ধরন ওমিক্রন নিউইয়র্কে শনাক্ত হয়নি। তবে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে হাসপাতালের জরুরি প্রয়োজন নয় এমন এবং কম জরুরি পদ্ধতিগুলো সীমিত করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সরবরাহ করার বিষয়ও থাকছে তাতে।

 

জানা গেছে, গভর্নরের আদেশ কার্যকর হবে ৩ ডিসেম্বর থেকে এবং তা ১৫ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

 

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসের নতুন ধরনকে উদ্বেগজনক বলে ঘোষণা করেছে এবং এর নাম দিয়েছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ব্যাপক পরিমাণে মিউটেশন ঘটিয়েছে করোনার এই ধরন। আবারও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথাও বলা হয়েছে।

 

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার এ ধরন প্রথম শনাক্ত হয়। এছাড়া বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং এবং ইসরায়েলে করোনার এ ধরন শনাক্ত হয়েছে।

 

বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ কিংবা সীমাবদ্ধ করার ব্যাপারে।

 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, করোনার নতুন ধরনের সঙ্গে মিল রেখেই নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে তিনটি শব্দ-‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ মানে উদ্বেগের ধরন।

 

করোনার এর আগের ধরনগুলোর নাম ছিল যথাক্রমে— আলফা, বিটা, গামা ও ডেলটা। আগের প্রতিটি ধরনের সঙ্গে কোনো না কোনো দেশের নাম জড়িয়ে ছিল। কিন্তু ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে একইসঙ্গে কয়েকটি দেশে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, হংকং-এ এটি ছড়িয়ে পড়েছে বেশি।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা বিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ভন কারখোভ জানান, ওমিক্রন, বি১.১.৫২৯ কে উদ্বেগের ধরন বলা হচ্ছে। এর কারণ হলো- ধরনটির ভেতর দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। এই ধরনে অনেক মিউটেশন দেখা গেছে। কিছু মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) সত্যিই উদ্বেগের।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *