করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বকে প্রস্তুত হতে বলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক :

 

ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের পর করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। আফ্রিকায় প্রথম চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসের এই নতুন রূপ। তারপর হংকং এবং ইসরায়েলে আফ্রিকা ফেরত পর্যটকদের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি মিলেছে।

 

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘খুব উচ্চ’ ঝুঁকি রয়েছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এই রূপ উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ইতোমধ্যেই সব দেশকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

সোমবার জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি এর ১৯৪ সদস্য দেশকে সম্ভাব্য সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের লোকদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছে তারা।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনে অভূতপূর্ব স্পাইক মিউটেশন হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এগুলো মহামারির গতিপথ বদলে দিতে পারে।

 

করোনার নতুন এই ধরনে বৈশ্বিক ঝুঁকি অনেক বেশি বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশ্য আজ পর্যন্ত এতে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন এ ধরনের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আগে যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, এ রকম ব্যক্তিরা ফের খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারে ওমিক্রনে।

 

সংস্থাটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ, তীব্রতার পরিবর্তন নির্বিশেষে ওমিক্রন করোনাভাইরাস স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অপ্রতিরোধ্য চাপ তৈরি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব গুরুতর হবে, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পৌঁছায়। এরপর নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর কারণে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *