শার্শায় দুটি কিডনিই নষ্ট : একটি কিডনি চেয়ে বাঁচার আকুতি রাফিজা খাতুনের

ইকরামুল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি :

দুই নষ্ট কিডনি নিয়ে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে যশোরের শার্শা উপজেলার এক হতদরিদ্র কৃষকের স্কুল পড়ুয়া কণ্যা রাফিজা খাতুন।

 

দীর্ঘ ৬ মাস ধরে দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা করাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রাফিজার মা বাবা। এ অবস্থায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহায়তা চেয়ে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান তারা।

 

সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শার্শা উপজেলার ধলদাহ গ্রামের গরীব কৃষক আব্দুর রহিমের কণ্যা রাফিজা খাতুন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। ধলদাহ টি আর এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়ন করছিলো সে।

 

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আজ তার দুটো কিডনি দূর্বল হয়ে পড়ায় জীবনে চলার গতীতে তার দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। কর্মচাঞ্চল্যতা কমে গিয়ে অাজ সে প্রায় অথর্ব হয়ে পড়েছে।

 

এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুপথযাত্রী মেয়ের করুণ অবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পরেছেন গর্ভধারীনি মা, বাবা ও আত্মীয় স্বজন।

 

একটি কিডনি চেয়ে জীবন বাঁচানোর করুণ আকুতি নিয়ে রাফিজা খাতুন বলেন, সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো সুস্থ হয়ে আবার পৃথিবীর আলো বাতাস উপভোগ করতে পারবো।

 

রাফিজার মা বাবা জানান, আমরা খুবই গরীব মানুষ। কনো রকম দিন আনি দিন খায়। বিগত ৬ মাস আগে মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা করে জানতে পারি তার কিডনির সমস্যা হয়েছে।

 

এরপর জানতে পারি ধীরে ধীরে তার দুটো কিডনিই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করাতে করাতে ইতোমধ্যে অনেক অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। এখন আর চিকিৎসা করাতে পারছিনা।

 

রাফিজার মা বাবা আরও জানান, মেয়েকে বাঁচাতে আপাতত একটি কিডনি জরুরি ভাবে প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসাই যখন থমকে গেছে সেখানে কিডনি স্থাপন করা তো দূরহ ব্যাপার।

 

রাফিজার মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, দিন দিন রাফিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। শরীর দিন দিন দূর্বল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন মেয়েকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সমাজের বিত্তশালী মানুষের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন করেন তিনি।

 

রাফিজা খাতুনকে যশোরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আশরাফুজ্জামান রিপন ও কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওবাইদুল কাদীর উজ্জল সহ কয়েজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।

 

তারা জানিয়েছেন, রাফিজাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি কিডনি স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে ধুকে ধুকে রাফিজার আলোর প্রদিব নিভে যাবে।

 

ধলদাহ গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস বলেন, রাফিজা একজন মেধাবী ছাত্রী। তার পিতা একজন দিনমজুর। সে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছে। ধীরে ধীরে তার দুটো কিডনি অকেজো হয়ে পড়েছে।

 

অর্থাভাবে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা থমকে গেছে। ফুটফুটে কোমলমতি মেধাবী এই মেয়েটিকে বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। সাহায্য পাঠাতে এবং বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ পিতা :-০১৯৫২-১০১৭৭৪ (বিকাশ নাম্বার)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *