‘স্মার্টফোনের র‍্যামের গতি বাড়ানোর ৮ উপায়’

অনলাইন ডেস্ক :

 

নানা কারণে আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অতিপ্রিয় স্মার্টফোনটির র‍্যাম কমে যেতে পারে। এর ফলে যা হয়, তা হলো স্মার্টফোনের গতিও কমে যায়। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে সময় নেয়। 

 

আসলে স্মার্টফোন গতিশীল না হলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে এই জাতীয় ঝঞ্জাট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা ব্যবহার করে আপনার স্মার্টফোনের গতি কমে যাওয়ার সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি-

 

১। যে অ্যাপগুলো খুব বেশি প্রয়োজন নয় সেগুলো আন-ইনস্টল করতে হবে। এতে ফোনের র‍্যাম ফ্রি থাকবে। ফলে স্মার্টফোন থাকবে গতিময়।

 

২। গুগল প্লে স্টোর থেকে টাস্ক কিলারের মতো কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো গতি বাড়ানোর নানা কাজ নিজেই করে নেয়। একটু পুরনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অটো টাস্ক কিলার অ্যাপটি বেশ উপযোগি। এটি নির্ধারিত সময়ের ব্যবধানে অ্যাপের প্রোসেস কিল করে স্মার্টফোনের র‍্যাম গতিশীল রাখে।

 

৩। স্টার্ট অ্যাপ ম্যানেজারের মতো কিছু স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এ অ্যাপগুলোর মাধ্যমে কতো সময় পর ফোন বুট বা রিস্টার্ট হবে সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া যায়। এছাড়া নির্ধারিত সময় পর কোনও অ্যাপ্লিকেশন সক্রিয় বা নিস্ক্রিয় হবে তা ঠিক করা যায়। এতে র‍্যামের উপর কিছুটা প্রভাব কমে।

 

৪। দীর্ঘক্ষন চলার পর স্মার্টফোনটিকে রিস্টার্ট করতে হবে। নতুনভাবে চালু হওয়ার ফলে ক্যাশ ফাইলগুলো ডিলিট হয়ে যায় ও বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ থাকে। ফলে র‍্যামের গতি কিছুটা হলে বৃদ্ধি পায়।

 

৫। স্মার্টফোনের মেমোরির দিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। মেমোরি কমে গেলেও স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। ফলে স্মার্টফোনের গতি কমে যায়।

 

৬। প্লে স্টোরে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যা আপনার ফোনের স্টোরেজ পরিষ্কার করে। এই অ্যাপগুলি মূলত ফোনে থাকা জাঙ্ক ফাইল, ডুপ্লিকেট ফাইল এবং অনেক বড় ফাইল ডিলিট করে দেয় যাতে ফোনের স্টোরেজ কমে যায়। সেক্ষেত্রে ইউজাররা ফোন ক্লিনার, ভাইরাস ক্লিনারের মতো অ্যাপ বেছে নিতে পারবেন।

 

৭। অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের ফোনের সাথে ক্লাউড স্টোরেজ প্রদান করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ফোনের ফটো এবং ভিডিওগুলি বেশি জায়গা দখল করছে, তাহলে আপনি ক্লাউড স্টোরেজেও কন্টেন্টগুলি সেভ রাখতে পারেন।

 

৮। আমাদের ফোনে এরকম অনেক ফাইল আছে যেগুলো অস্থায়ী। এগুলো ডিলিট করলে ফোনের মেমরি অনেক বেড়ে যায়। তাই যদি আপনার ফোনে ক্যাচে ডেটা থাকে, তাহলে সেগুলি ডিলিট করে দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *