২৫৩ জনের মৃত্যু ঈদযাত্রায়

অনলাইন ডেস্ক : গত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যানজট, রেলপথে সিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কালোবাজারিসহ নানা কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে’

এবছরের ঈদুল আজহায় সড়ক, রেল ও নৌপথে ২৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে রবিবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদুল আজহায় দুর্ঘটনার উপর একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবছর ঈদুল আজহায় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ২৪৪ টি দুর্ঘটনায় ২শ ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৮শ’ ৬৬ জন ব্যক্তি।   

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “ঈদ শুরুর দিন ৬ আগস্ট থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বিগত ১২ দিনে ২০৩ টি সড়ক দূর্ঘটনায় ২২৪ জন নিহত ও ৮৬৬ জন আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৩৭ জন চালক, ৩ জন শ্রমিক, ৭০ জন নারী, ২২ জন শিশু, ৪২ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৩ জন সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, ৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৩ জন রাজনৈতিক নেতা, ৯শ যাত্রী ও পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অন্যদিকে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ার ১১ টি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার ১টি, ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষের ১টি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ১টি ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে নৌ পথে ২৪ টি ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ৫৯ জন নিখোঁজ ও ২৭ জন আহত হয়েছে।

“গত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হলেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যানজট, রেলপথে সিডিউল বিপর্যয়, টিকিট কালোবাজারিসহ নানা কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।”, যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালে ঈদুল আজহায় ১৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২শ ৪৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৫৫ জন আহত হয়েছিল। ২০১৭ সালে ২১৪টি দুর্ঘটনায় ২শ ৫৪ জন নিহত ও ৬শ ৯৬ জন আহত হন। আর ২০১৮ সালে ২৩৯টি দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত ও ৯৬০ জন আহত হন। এবার আগের বছরের তুলনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা দু’টোই কমেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, “যতোদিন চালক ও সহকারীদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হবে না ততোদিন আমাদের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতেই হবে। ঈদের সময় অতি মুনাফার আশায় চালক, সহকারী ও গাড়ি মালিকরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এবার ঈদের আগের চেয়ে পরের দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। ঈদের আগে সড়ক দূর্ঘটনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। ঈদের পরে বেড়েছে। কারণ চালকরা বিশ্রাম নিতে পারে নি।”

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ সভাপতি তাওহিদুল হক লিটনসহ বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *