পি কে হালদারের সব মামলার তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক :

 

হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে দেশে ফেরাতে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা রুলের শুনানির তারিখ ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

 

আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১২ জুন শুনানির তারিখ রেখেছেন। এ সময়ের মধ্যে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে করা মামলার হালনাগাদ তথ্য জানাতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

 

গত ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে। ইডি বরাত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, পি কে হালদার রেশন কার্ড, ভারতের জাতীয় পরিচয় পত্র, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পি এ এন (প্যান) ও আধার কার্ডের মতো ভারতীয় বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি শিব শংকর হালদার নাম নিয়েছিলেন।

 

পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের ১১টি বাড়ি, জমি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে ইডি। তার আরও সম্পদ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। যে কারণে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পি কে হালদারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশের আর্থিক খাত থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

এই গ্রেপ্তারের খবরে ফের আলোচনায় আসেন পি কে হালদার। তার প্রেক্ষিতে গত ১৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ভারত এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

 

এর পরদিনই অর্থাৎ গত সোমবার (১৬ মে) পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত দেড় বছর আগে দেওয়া স্বপ্রণোদিত রুলের শুনানি করতে উদ্যোগী হয় রাষ্ট্রপক্ষ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পি কে’র গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে সে রুলটির শুনানির আরজি জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ আরজির প্রেক্ষিতে আদালত জানান, মঙ্গলবারের কার্যরতালিকায় রুলটি রাখা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আদালত মঙ্গলবার (১৭ মে) শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

 

‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে এ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পরদিন স্বপ্রণোদিত রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পিকে হালদারের গ্রেপ্তার ও দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *